মালঞ্চা উচ্চ বিদ্যালয় ও নবদিগন্ত রায়পুর ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সমিতির যৌথ উদ্যোগে বিদ্যালয়ের হল ঘরে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল প্রথম দিনের থ্যালাসেমিয়া নিয়ে সচেতনতা শিবির। মূলত থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং ও স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি কার্যকরী করা এই শিবিরের লক্ষ্য। প্রথম পর্বে মূলত বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির প্রায় ২০০ জন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এই কর্মসূচি পালিত হয়। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধ করতে বক্তব্য রাখেন কুমারজীবন দাস এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করেন দীপেশ পাল। ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় কুমার রায়, নবদিগন্ত রায়পুর ক্রীড়া ও সমাজকল্যাণ সমিতির সভাপতি অচিন্ত্য দেব, সম্পাদক দীপেশ পাল, কোষাধক্ষ্য আকাশ বর্মন-সহ বহু সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব।
সম্পাদক দীপেশ পাল জানান – “থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রোগ, একটু সচেতন হলেই এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। আর যাঁরা থ্যালাসেমিয়া শিশু রয়েছে, তাদের বাঁচাতে গর্ভবতী মায়ের পথদুর্ঘটনা গ্রস্থ পথচারীদের দরকারে একজন সহৃদয় ব্যাক্তি যদি স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসে তবেই রক্তের এই সমস্যা সমাধান সম্ভব। আর এর সূচনাটা যদি ছাত্র জীবন থেকে শুরু করা যায়, তবে সমাজ অনেক উপকৃত হবে বলে দীপেশ পাল জানান।”
রায়গঞ্জ স্বাস্থ্য দফতর থেকে ডা: মাসুদ রানা-সহ ৬জন স্বাস্থ্যকর্মী থ্যালাসেমিয়া স্ক্রিনিং-এ সহযোগিতা করেন। বিদ্যালয়ের মোট ১২০ জনের বিনামূল্যে থালাসেমিয়া চিহ্নিতকরণ করা হয়। প্রত্যেকটি পরিবারে স্বেচ্ছায় রক্তদাতা তৈরি করতে ও বিশেষ করে বিবাহের পূর্বে থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়।
রায়গঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।