রায়গঞ্জ শহর থেকে প্রায় ৪ কি.মি দূরে রয়েছে টেনহরি গ্রাম। সেন বংশের আমলে খুবই বর্ধিষ্ণু গ্রাম ছিল এই টেনহরি গ্রাম। পাতালঘোড়া জলাশয়, বল্লাল দিঘি, নিহালি বিল এই গ্রামেরই পরিচয় বহন করে আসছে। বল্লাল সেনের আমলে টেনহরি গ্রামে পাতালঘোড়া জলাশয়ের সামনে একটি মন্দির গড়ে উঠেছিল। বখতিয়ার খলজির বঙ্গ বিজয়ের আক্রমণের ভয়ে গ্রামবাসীরা মূর্তিগুলিকে পাশের পাতালঘোড়া জলাশয়ে ডুবিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে চৈত্র পূর্ণিমার দিন পাতালঘোড়া জলাশয় সংস্কার করতে গিয়ে এই মূর্তিগুলি উদ্ধার হয়। তখন বর্তমানে মন্দিরটি গড়ে তোলা হয়। মন্দিরে বর্তমানে ৩ ফুট ২ ইঞ্চির একটি বিষ্ণুমূর্তি, এবং সাড়ে ছয় ফুটের বিষ্ণুর দশাবতার মূর্তি রাখা আছে। দুটি মূর্তি এই মন্দির থেকে চুরিও হয়ে গেছে। এই দশাবতার থেকেই টেনহরি গ্রামের নামের উৎপত্তি বলে মনে করা হয়। বর্তমানে মন্দিরটির সংস্কারের আর্জি জানিয়েছেন মন্দিদের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রধান সেবাইত চন্দ্র মোহন দাস। আমরা যোগাযোগ করেছিলাম উত্তর দিনাজপুর জেলার এডিএম ডেভলপমেন্ট মানস মন্ডলের সঙ্গেও।
রায়গঞ্জের টেনহরি গ্রাম থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।