কাজ করার নাম করে নিয়ে গিয়ে মুক্তিপণ চাইল দুষ্কৃতীরা। এমনই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল রায়গঞ্জ থানার ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা এলাকায়। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ নিষ্ক্রিয় বলে চূড়ান্ত অভিযোগ উঠেছে।
পরিবারসূত্রের খবর, শুক্রবার সকালে রায়গঞ্জ থানার ১০ নম্বর মাড়াইকুড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কসবা এলাকায় ভ্যানের উপরে রতন সরকার, কাঙাল হালদার, স্বপন দে ও রাজেন মন্ডল বসে ছিলেন। সেই সময় আচমকাই একটি গাড়ি এসে তাদেরকে বলে- রুপাহারে আমের গাড়ি আনলোড করতে হবে। সেই মতো তারা গাড়িতে উঠে যান। রুপাহার পার হয়ে যাওয়ায় তাদের মনে সন্দেহ জাগে। তারপরে গাড়িটি নন্দনগ্রামে পৌছলে স্বপন দে গাড়ির থেকে লাফিয়ে নিচে নামেন। পরে রতন সরকার ও কাঙাল হালদার পতিরাজপুরে এলাকায় গাড়ির থেকে লাফিয়ে নিচে নামেন। কিন্তু রাজেন মন্ডল গাড়ির থেকে লাফ দিতে না পারায় তাকে নিয়ে চলে যায় গাড়িটি। তার পরে শনিবার সকালে রাজেন মন্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডলকে এই ৭৬৯৯৪০৪৭৬৭ নম্বর থেকে ফোন করে রাজেন মন্ডলের মুক্তি পনের জন্য ১ লক্ষ টাকা চায় ছল করে গাড়িতে তোলা দুষ্কৃতীরা। টাকাগুলি কালিয়াচকে নিয়ে আসতে বলে। টাকা না দিলে তার বাবাকে ছাড়বে না বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজেন মন্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডল রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রাজেন মন্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডল জানিয়েছেন, ফোন করে ১ লক্ষ টাকা চাইছে আমরা কোথা থেকে দেব এতও বিপুল পরিমাণ অর্থ। বাবা ভ্যান চালক আর আমি ফলের ব্যবসা করি, এত টাকা কোথা থেকে দেব(!) পুলিশকে জানিয়েও এখন পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। রাজেন মন্ডলের পুত্রবধূ গীতা মন্ডলের অভিযোগ, তারা থানায় অভিযোগ জানালেও তাদেরকে রিসিভ কপি পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। অন্যদিকে রতন সরকার জানিয়েছেন, আমরা ভ্যান চালক আমরা গাড়ি লোড ও আনলোড করি। আমাকে বলে আমের গাড়ি আনলোড করতে হবে বলে আমরা গিয়েছি। কিন্তু আমাদের একজনকে ওরা আটকে রেখেছে তাকে যেন ছেড়ে দেয় বলে জানান রতনবাবু। এবিষয়ে ভ্যান চালক রতন সরকার কি বলেছেন শোনাব –
পাশাপাশি রাজেন মণ্ডলের ছেলে শম্ভু মন্ডল কি বলেছেন শুনুন –
অন্য দিকে পুত্রবধূ গীতা মন্ডল কি বলতে চেয়েছেন শুনব –
ফোর্টিন টাইম লাইন, রায়গঞ্জ।