পুরনো সময়ের গ্রাম্য স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে এবারের চমক রায়গঞ্জের বিপ্লবী ক্লাবের। পুজোর বাকি আর মাত্র ৮৯ দিন। একশ দিন বাকি থাকার সময় থেকেই মণ্ডপ তৈরির কাজ আরম্ভ করেছিল রায়গঞ্জের বিপ্লবী ক্লাব। আজ বিপ্লবী ক্লাবের দুর্গপুজোর খুঁটি পুজো।
উল্লেখ্য, করোনার কারনে গত দু’বছর ভাটা পড়েছিল বাঙ্গালিদের সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। ভয় এবং আতঙ্কের মধ্যেও মণ্ডপ দর্শণে বেরিয়েছিলেন দর্শনার্থীরা। কিন্তু এবছর করোনার প্রকোপ অনেকটাই কম। তাই চলতিবছর বাঙালিদের আনন্দে মেতে ওঠা থেকে কেউ আটকাতে পারবে না। বাঙ্গালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। রায়গঞ্জের অধিকাংশ মানুষই জানিয়েছেন- গত দু’বছর করোনার জন্য আমরা কেউ সেই রকমভাবে ঠাকুর দেখতে পারিনি। কিন্তু, এবার যেরকম বাজেটের পুজো রায়গঞ্জের বুকে হতে চলেছে, সেক্ষেত্রে আসন্ন দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে ওঠা কেউ রোধ করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, উত্তর দিনাজপুরের জেলা সদর রায়গঞ্জের অধিকাংশ দুর্গাপুজোই বড় বাজেটের হয়ে থাকে। প্রত্যেকটি ক্লাবেরই পুজোর বাজেট নজরকাড়া থাকে। কিন্তু করোনা মহামারীর জন্য সেই বাজেট গত দু’বছর অনেকটাই কমে এসেছিল। রায়গঞ্জের ক্লাবগুলি মন্ডপের থেকে বেশি সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যবিধির দিকেই নজর রেখেছিল। কিন্তু এবছর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে অধিকাংশ ক্লাব কর্তৃপক্ষই। কারন, করোনার প্রকোপ এবছর অনেকটাই কম। তাই রায়গঞ্জের বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে বিপ্লবী ক্লাবের বাজেট এবার অনেকটাই বেশি। এ বছরের দুর্গাপুজোর থিম পুরনো সময়ের গ্রামীণ পরিবেশ। যে গ্রামীণ পরিবেশ বর্তমান যুগে পেছনে ফেলে এসেছেন অনেকেই। দুর্গাপুজোর থিম দর্শনার্থীদের মন আকর্ষণ করবে বলে জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ। আজ তারই খুঁটি পুজো।
রায়গঞ্জ থেকে শুভম সরকাররে রিপোর্ট, টাইম ফোর্টিন বাংলা।