সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে গর্ভধারিণী মা-কে বাড়ি থেকে রীতিমতো উৎখাত-ই করে দিলেন মেয়ে। এমনই চিত্র উঠে এসেছে রায়গঞ্জের ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেবপুরী এলাকায়। অভিযোগ, মেয়ে লক্ষ্মী রায় প্রণয়সূত্রেই বিয়ে করেছেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেবপুরী এলাকার বাসিন্দা কুলুপ রায়ের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে মেয়ে এবং জামাই দু’জনে মিলে ষড়যন্ত্র করে মা মিলনবালা দাসের কাছ থেকে মায়ের নামে থাকা বাড়িটি লিখিয়ে নেন। এরপর থেকেই শুরু হয় গর্ভধারিণী মায়ের উপর অত্যাচার। দীর্ঘদিন ধরেই মেয়ে এবং জামাই সম্মিলিতভাবে মারধর করেন বলে অভিযোগ করেছেন মিলন বালা দাস। এমনকি মিলানবালাদেবীকে গলা টিপে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তা সহ্য করতে না পেরে প্রতিবেশী মৌমি দেবের কাছে আশ্রয় নিয়েছেন মিলনবালাদেবী বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। প্রায় ২০ দিন যাবৎ মৌমি দেবের বাড়িতেই মানবিক আশ্রয়ে রয়েছেন বর্ষীয়াণ মিলনবালা। বারংবার সালিশি সভা করার পরেও জামাই এবং মেয়ে মারধর চালিয়ে যেতেন বলে অভিযোগ। এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে এলাকাজুড়ে।
মিলনবলাদেবীর ছেলে আইনি জটিলতায় রায়গঞ্জ সংশোধনাগারে রয়েছেন। ছেলেকে জামিনে মুক্ত করিয়ে আনার অছিলায় মিলনবলাদেবীর কাছ থেকে সোনার গয়না এবং প্রায় লক্ষাধিক টাকা ধাপে ধাপে নিয়ে তাকে নিঃস্ব করে দিয়েছেন তার মেয়ে-জামাই বলেও অভিযোগ। এই সব অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই অবশেষে থানার দ্বারস্থ হয়েছেন মিলনবালা দাস। তবে পুলিশ আসার পরে কোনও সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসে কি না সেটাই এখন দেখার।
দেবীনগরের দেবপুরী থেকে শুভম সরকারের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।