আবারও বিতর্কের সৃষ্টি হল তৃণমূল কমিটি ঘিরে। ইতিমধ্যে ঘোষণা হয়েছে জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কমিটির সদস্যদের নাম। সেই জেলা কমিটিতে সম্পাদক হিসেবে রাখা হয়েছে বকুল দাসকে। জানা গেছে, বকুল দাস বিজেপি কর্মী। অথচ তার নাম রয়েছে তৃণমূল মহিলা কমিটিতে! সোশ্যাল মিডিয়াতেও তাকে বিজেপি সমর্থক হিসেবে দেখা যায়। এর সত্যতা যাচাই করতে কমিটি লিস্টে দেওয়া ফোন নম্বরে বকুল দাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি বিজেপি করেছেন এবং তৃণমূল কংগ্রেস তাকে না জানিয়েই তার নাম কমিটিতে রেখেছেন।
যদিও এবিষয়ে জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস কমিটির সভাপতি চৈতালি ঘোষ সাহা বলেন, বকুল দাস আগে বিজেপি করতেন। সেখান থেকে তিনি তৃণমূলে যোগ দেন এবং সক্রিয় কর্মী ছিলেন। যার ফলস্বরূপ তাকে জানিয়েই তার নাম জেলা কমিটিতে রাখা হয়। বর্তমানে তিনি বিজেপি-তে আবারও যোগ দিয়েছেন, খুব শীঘ্রই রেজোলিউশন করে তাকে কমিটি থেকে বের করে দেওয়া হবে।
অপর দিকে কমিটি দেখে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দেন রায়গঞ্জ পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর কল্পিতা মজুমদার। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি ও আরও অনেকে তৃণমূল দল করেন। অথচ তাদের যোগ্য সম্মান না দিয়ে তাদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি কি প্রশ্ন করে কমিটি গঠন করা হয়েছে তা প্যাডে কোনও তারিখের উল্লেখ নেই কেনও? তিনি এই বিষয়গুলি হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য্যকেও জানিয়েছেন বলে জানান।
চৈতালি ঘোষ সাহা আরও বলেন, কমিটি তৈরিতে কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। তিনি দলের নির্দেশে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান বলেও জানান তিনি।
রায়গঞ্জ থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।