Uttar & Dakshin Dinajpur Dinajpur: স্ত্রী-কে নির্যাতনের অভিযোগে ধৃত অধ্যাপক তাপস পালের জামিন হল না

আরও পড়ুন

বধূ নির্যাতনের অভিযোগে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তাপস পালকে গ্রেফতার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। ধৃতকে শুক্রবার বালুরঘাট আদালতে পেশ করা হলে পুলিশ পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ধৃত অধ্যাপক তাপস পাল জানিয়েছেন, আদালতেই তার প্রমাণ হবে। ধৃত তাপস পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন তাপসবাবুর স্ত্রী ময়ুরিকা রায় ও তার পরিবার।

উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক তাপস পাল রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপিকা ময়ুরিকা রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয়। ময়ুরিকা রায়ের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটের রথতলা চকভবানী এলাকায়। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্ত্রী-র উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতেন তাপসবাবু। তাপসবাবুর দাবি অনুযায়ী ফ্ল্যাট কেনা এবং বিদেশে ঘোরার টাকা ময়ুরিকার পরিবারকে দিতে হয়েছে। তাপসবাবুর শ্বাশুড়ি মন্দিরা রায়ও একজন শিক্ষিকা। ময়ুরিকাদেবী একজন শিক্ষিত পরিবারের সন্তান। অভিযোগ- ময়ুরিকার কাছে গাড়ি কেনার ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন তাপসবাবু। সেই টাকা দিতেও তারা সম্মত হয়েছিলেন। কিন্তু তাপসবাবু বিবাহিত জীবনযাপনের পরও অন্য একটি ছাত্রীর সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সেই ছাত্রীকে সঙ্গে নিয়ে রায়গঞ্জের বাইরে গিয়ে থেকেছেন বলে অভিযোগ। অধ্যাপক তাপস পালের উদ্যোগেই ছাত্রীকে বিশ্বভারতীতে এম এ ভর্তি করেন। ময়ুরিকাদেবী এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক মেনে নিতে না পারায় তার প্রতিবাদ করেন। উল্টে তার কাপালে জোটে মারধোর। বাধ্য হয়েই ময়ুরিকা বালুরঘাট থানায় বধূ নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। বালুরঘাট থানার পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রায়গঞ্জের সুর্দশনপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে বালুরঘাটে নিয়ে যায়।শুক্রবার তাপসবাবুকে বালুরঘাট আদালতে পেশ করা হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার নির্দেশ দেন। ধৃত তাপসবাবু জানিয়েছেন- আইন আইনের পথেই চলবে। তিনি দোষী না নির্দোষ তার প্রমাণের জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অত্যাচারিতা অধ্যাপিকা ময়ুরিকা রায়ের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার উপর শারিরিক অত্যাচার করতেন। এছাড়াও তাকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টাও করেছেন। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর যে ছাত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল তিনি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ায় তাকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে তার ভ্রূণ হত্যা করানো হয়। ময়ুরিকাদেবীর আরও অভিযোগ, যে সমস্ত ছাত্রী তার সঙ্গে বিছানায় যেতে পারেন তাদেরই বেশি নম্বর দিতেন তার স্বামী। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপকরা বিষয়টি জেনেও চুপ ছিলেন। যারা নম্বরের লোভ দেখিয়ে ছাত্রীদের জীবন নষ্ট করছেন সেই সমস্ত শিক্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। ময়ুরিকাদেবীর মা মন্দিরা রায় একজন শিক্ষিকা। তিনি জানান, এক শিক্ষক বিয়ে করে তার স্ত্রী-র উপর নির্যাতন করতে পারেন এটা ভাবা যায় না। শিক্ষিত সমাজ যদি এই কাজ করে, গ্রামের অর্ধ শিক্ষিত, অল্প শিক্ষিত মহিলাদের অবস্থা কি হবে? তার বার্তা,যে সমস্ত ছাত্রী কম পড়াশুনো করে তারা শরীরকে বিকিয়ে দিয়ে অন্যের সংসার যেনও না ভাঙ্গেন। তিনি তাপস পালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পাল ও প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close