তোলা না দেওয়ায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে বোমা মারার অভিযোগ উঠলো স্থানীয় এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশি সূত্রে খবর, কদিন আগেই দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে গুরুতর জখম হয় বচ্চন। তারপর থেকেই রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সে।
সূত্রের খবর, রায়গঞ্জ থানার বাজিতপুর গ্রামের বাসিন্দা তারক দাস বাড়ির পাশে ইঁট, বালি ও সিমেন্টের ব্যবসা করেন। স্থানীয় বচ্চন নামের এক দুষ্কৃতি এই এলাকায় বিভিন্ন জনের কাছ থেকে হুমকি দিয়ে তোলা আদায় করে বলে অভিযোগ। কয়েকদিন আগেই বচ্চন জেল খেটে এসেছে। চলতি মাসের ২২ তারিখে বচ্চন তারকবাবুর কাছে তোলা আদায়ের জন্য আসে। তোলা না দেওয়ায় বচ্চন ওই ব্যবসায়ীকে মেরে ফেলার হুমকি দিলে স্থানীয় বাসিন্দারা বচ্চনকে মারধর করে। গভীররাতে বচ্চনের লোকজনের এসে তারকবাবুর থাকার ঘরটিকে লক্ষ্য করে দুটি বোমা মেরে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। পরে তারকবাবু ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন চারিদিকে ধোঁয়া আর বারুদের গন্ধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বোমা মারার ঘটনায় গোটা এলাকা আতঙ্কিত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ ১১ নম্বর বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বাসো চরে।
রায়গঞ্জ থেকে বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।