কয়েক বছর যাবৎ রায়গঞ্জের বাজারে রমরমিয়ে বিক্রি হচ্ছে আপেল কুল। মিষ্টি স্বাদের, প্রায় আপেলের মাপের লাল এই কুল অনেকেরই খুব পছন্দের। এই আপেল কুল রায়গঞ্জে আসছে মালদা জেলার চাঁচল সংলগ্ন গ্রামগুলি থেকে। প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জন চাষি টোটো ভর্তি করে এই কুল নিয়ে আসছেন রায়গঞ্জে। এদিন সকালে রায়গঞ্জের মোহনবাটিতে জেলা আদালতের গেট সংলগ্ন এলাকায় দেখা মিলল সারি সারি আপেল কুলের ব্যাগ। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের ভিড়ে যানজট তৈরি হচ্ছে মাঝেমধ্যে।
সূত্রের খবর, চাঁচলের বিভিন্ন গ্রাম থেকে চাষীরা কুল নিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি করণদিঘি, টুঙ্গিদিঘি, কালিয়াগঞ্জ, ডালখোলা থেকে এসেছেন পাইকারি বিক্রেতারা। কেউ এনেছেন ভারত সুন্দরী, কেউ এনেছেন বউ সুন্দরী, আবার কারও কাছে বাহু কুল। সবুজ রঙের আপেল কুলের বাজার দর ২০ থেকে ২৫ টাকা প্রতি কেজি। তবে অন্যান্যবার ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কুল বিক্রি করেছেন চাষীরা।
চাষীদের দাবি, এবছর প্রথম দিকে কুলের দাম কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা ছিল। কিন্তু এখন আর দাম মিলছে না। আমদানির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় কম দামেই বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। রায়গঞ্জে গত বছর থেকে চাঁচলের আপেল কুলের আমদানি শুরু হয়েছে। রায়গঞ্জে আপেল কুলের বাজার পুরোপুরি দখলে তাদের। এবছর আমদানি যথেষ্ট বেড়েছে। পশ্চিম দিনাজপুর চেম্বার অফ কমার্সের সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর কুন্ডু বলেন, ‘গত বছর থেকে চাঁচলের চাষীরা আপেল কুল এখানে নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। এবছর আমদানি যথেষ্ট বেড়েছে। তবে ফলে সেভাবে দাম পাচ্ছেন না।
ফোর্টিন টাইমলাইন, উত্তর দিনাজপুর।