Uttar Dinajpur: সংক্রান্তি রবিবার, পিঠে তৈরিতে উৎসাহ নেই গৃহিণীদের

আরও পড়ুন

রবিবার, ১৫ জানুয়ারি ভোরে পৌষ সংক্রান্তি। হাতে রয়েছে মাত্র দু’দিন। একটা সময় পৌষ সংক্রান্তির ক’দিন আগে থেকেই ঢেঁকির শব্দ শোনা যেত গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে। পৌষ সংক্রান্তির কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়ে যেত ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করার প্রক্রিয়া। সেসব আজ অতীত হয়ে রবীন্দ্রনাথের জীবন স্মৃতির পাতায় স্থান পেয়েছে। গ্রামেও ঢেঁকিতে চালের গুঁড়ো করা হয় না বললেই চলে। যদিও এখন হাতে গোনা কিছু গ্রামীণ এলাকার বাড়িতে দেখা যায় ঢেঁকি ব্যবহারের চল। এক সময় গ্রামের বাড়ির গৃহবধূরাও ঢেঁকিতে চাল গুঁড়ো করতেন। এমনকি পৌষ সংক্রান্তির আগে গৃহবধূরা ভিড় জমাতেন যেসব বাড়িতে ঢেঁকি রয়েছে। এছাড়াও বছরের অন্যান্য আচার অনুষ্ঠান, উৎসবের মরশুমেও সেখানে ঢেঁকিতে চাল, হলুদ গুঁড়ো করে নিয়ে যেতেন বিয়ে উৎসব পুজো পার্বণ-সহ নানা আচার অনুষ্ঠানে। রেডিমেড চালের গুঁড়ো বাজারে কিনতে পাওয়া যায় তা দিয়ে তৈরি হয় পিঠেপুলি। তাই ঢেঁকির গুরুত্ব হারিয়ে গিয়েছে। শহর ছাড়াও গ্রাম বাংলার সব জায়গাতেই একই দৃশ্য লক্ষ্য করা যায়। এসবকে কেন্দ্র করে হলুদ কোটার গান, লোকসংগীত-সহ বিভিন্ন ছড়া, ধাঁধা গ্রাম বাংলায় প্রচলিত ছিল। ঢেঁকির সঙ্গে সেই সংস্কৃতিও হারিয়ে যাওয়ার পথে। পিঠেপুলি মিলছে বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে কিংবা ফুটপাথ লাগোয়া দোকানগুলিতে। এযুগের গৃহবধূরা বাজার থেকে চালের গুড়ো না কিনে দোকান থেকে পিঠে পুলি কিনেই উদরপূর্তিতে ব্যস্ত।

উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে জয়দীপ দত্তের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close