মুখ্যমন্ত্রী যখন দালাল চক্র নিয়ে সোচ্চার ঠিক সেই সময় উল্টো চিত্র ধরা পড়ল রায়গঞ্জ গভমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। দুই রোগী পরিবার মিলিয়ে খোয়া গেছে ৩১হাজার টাকা একই সন্ধ্যায়। বীণা রায় বর্মন স্বামীর চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন এদিন হাসপাতালে। রাত ৮টা নাগাদ হঠাৎ করেই তার মানি ব্যাগ টি খোয়া যায়। তার বক্তব্য অনুযায়ী মানি ব্যাগে ১২০০০ টাকা ছিল। অপর এক রোগী স্বপন দাসের অভিযোগ হুইল চেয়ার থেকে লিফটে নিয়ে যাওয়ার সময় কোন এক যুবক তার বুক পকেট থেকে ১৯০০০টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তিনি তার পিছু করতে পারেন নি তবে ডাকাডাকি করেও কোন হদিস মেলে নি ছেলেটির।
হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ক্যাম্প ও সিসিটিভি থাকা সত্বেও এ ধরনের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে শহরবাসী। ঘটনার পর বীণা রায় বর্মন পুলিশ ফাঁড়ি তে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। ডিউটি অফিসার রণবীর তালুকদার সেটি আইসির নিকট পাঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান পুলিশ ফাঁড়িতে হাসপাতাল প্রশাসন থেকে কোন অভিযোগ এলে তারা পদক্ষেপ নিতে পারবেন কিন্তু রোগী বা অন্য কারো সমস্যা হলে সেটি সুরাহা করবে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বাইরে থেকে আসা বীণা রায় বর্মন তাই চিন্তিত এতগুলি টাকা খোয়া যাওয়ার পর তিনি আগামীতে স্বামীর চিকিৎসা কি করে করাবেন বা চলবেনই বা কি করে।
রায়গঞ্জ থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।