দেবব্রতই কি চাকরি দেওয়ার দালাল! বাজিতপুরের বাড়িতে বুধবার বিকেলে পুলিশ কনস্টেবল দেবব্রতর আচরণে অন্তত সেটাই প্রমাণিত। নইলে তিনি কেনও নিরস্ত্র সাংবাদিকদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। করেছেনও তাই, এদিন বিকেলে তার বাড়ি থেকে সাংবাদিকদের তাড়াতেই বাবাকে ফেলে দেওয়ার নাটক করে সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করেছেন। যেনও কোনোভাবেই সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবল দেবব্রত কিংবা তার বাবা ঋষিকেশ রায়ের মুখ থেকে কোনও বেফাস মন্তব্য না বেরোয়। সেই কারনেই এমন অভিনব ফন্দি এঁটেছিলেন ধূর্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট-এর কনস্টেবল দেবব্রত রায়। যদিও রায়গঞ্জ পুলিস জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার তড়িঘড়ি পুলিশ পাঠিয়ে অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল দেবব্রত রায়কে থানায় ধরে আনিয়েছেন থানায়। অভিযুক্ত দেবব্রতর বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানিয়ে খবর পাঠানো হয়েছে তার শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট-এর মাল্লাগুড়ির অফিসেও।
অন্যদিকে রায়গঞ্জের বাজিতপুর, কাচিমোহা-সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের অভিযোগ- দেবব্রত দালালদের সঙ্গী করে অগুনতি অর্থ বাজার থেকে তুলেছিলেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাতেই দেবব্রত সংবাদমাধ্যমকে দেখে এমন উম্মত্ত আচরণ করেছেন।
দেবাব্রতর হিংসাত্মক আক্রমণে প্রায় ৪ আঙুল দৈর্ঘ্যের মাথার ডান দিক কেটেছে এবিপি আনন্দ-র সাংবাদিক সুদীপ চক্রবর্তীর। ঘাড়ে চোট লেগেছে নিউজ টাইম নামের একটি বৈদ্যুতিন সংবাদ মাধ্যমের চিত্রসাংবাদিক সুনীতেন্দ্র নাথ রায় ওরফে সুমনের, টি ভি নাইন বাংলার সাংবাদিক রূপক ঘোষ এবং চিত্র সাংবাদিক অভিষেক সরকার।
রায়গঞ্জ পুরসভার উপ পুর-প্রশাসক অরিন্দম সরকার বলেন, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল দেবব্রত রায় ছাড়া পাবেন না, আইন তার নিজের পথেই চলবে।
অন্যদিকে, দেবব্রত রায়ের বিরুদ্ধে বাজার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা তোলার বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দেখারও দাবি উঠেছে।
ফোর্টিন ওয়েব ডেস্ক, রায়গঞ্জ