কোটি টাকা দামের মূল্যবান তক্ষক উদ্ধার করল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, গতকাল গভীর রাতে এএসআই(ASI) জাকির হোসেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার কুমেদপুর বাইপাস সংলগ্ন অঞ্চলে একটি পেট্রলপাম্প থেকে এই তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত তিন ব্যক্তির নাম জয়নাল আবেদীন(৪০), আবু তালেব(৩৮), রুদাল চৌধুরী(৪০)।
অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার বিভিন্ন গ্রামে। জানা যায়, বসিরহাট থেকে এই তিন ব্যক্তি তক্ষকটিকে নিয়ে বিহার হয়ে চিনের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এদিন তক্ষকটিকে উদ্ধার করে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশ শুক্রবার বনদপ্তরের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এই তিন পাচারকারীকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
জানা গেছে, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এএসআই জাকির হোসেন কুমেদপুর এলাকায় হানা দেয়। সেখানে কুমেদপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্প থেকে এই তিন সন্দেহ জনক ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একটি বিরল প্রজাতির তক্ষক। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ১২ ইঞ্চি। এটিকে বসিরহাট থেকে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের বিহার সীমান্তবর্তী অঞ্চল দিয়ে নেপাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। সেখান থেকে চিনে পাচার করা হত। চিনে এই তক্ষকের প্রচুর মূল্য পাওয়া যায়। ঔষধ তৈরি এবং বিভিন্ন কারণে চিনে তক্ষক কেনা-বেচা হয়। আজ এটিকে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাশ জানান,”আমরা গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই তক্ষক সহ তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছি। কি উদ্দেশ্যে কোথায় তারা তক্ষক নিয়ে যাচ্ছিল তা সম্পর্কে এদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তক্ষক কে বনদপ্তর এ হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে”।
উল্লেখ্য, চাঁচলের বনদপ্তরের রেঞ্জ এর আধিকারিক মনীন্দ্রনাথ থোকদার জানান,”আমরা আজ হরিশ্চন্দ্রপুর থানা থেকে এই তক্ষক টি নিয়ে আপাতত বনদপ্তরের অধীনে রাখা হবে। এরপর আদালতের যা নির্দেশ দিবে সেই মোতাবেক কাজ করা হবে”।