চুঁচুড়া কাপাসডাঙা শিবতলা এলাকার খুদে বাসিন্দা ভ্রাজিষ্ণু ভট্টাচার্য। তার বয়স মাত্র ১৮ মাস। এইটুকু বয়সেই ভারতের নাম উজ্জ্বল করল সে। ভ্রাজিষ্ণুর কথা আঁধো-আঁধো হলেও তার স্মৃতি-শক্তির জোরে সে বড়োদেরকেও তাক লাগিয়ে দিয়েছে। এই স্মৃতি-শক্তির জোরেই ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম উঠেছে। নানা ধরণের পশু পাখি থেকে শুরু করে নানান দেশের পতাকার চিত্র দেখাতে দক্ষ ভ্রাজিষ্ণু।
ভ্রাজিষ্ণুর বাবা দিলীপ ভট্টাচার্য পেশায় ঘুড়ি ব্যবসায়ী এবং তার মা কাকলি ভট্টাচার্য গৃহবধূ। তাদের ছেলের ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম ওঠায় তারা খুবই আনন্দিত। সূত্রের খবর, অনেক ছোট থেকেই তার বাবা-মা তাকে অনেক পশু-পাখির ছবির বই এনে দেয়। সেই বই দেখে দেখেই ভ্রাজিষ্ণু পশু-পাখি থেকে শুরু করে নানান দেশের পতাকা, ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ধীরে ধীরে চিনতে থাকে।
ভ্রাজিষ্ণুর বাবা-মা জানান, তাদের ছেলের যখন দেড় মাস বয়স তখন দিলীপবাবু তার জন্য একটি বই আনেন। সেই বইয়ের ছবি দেখে দেখেই তার প্রথম ছবি চেনার সূত্রপাত। তাদের ছেলের এই প্রতিভাকে সবার সামনে তুলে ধরতে তারা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে খবর দেন। এরপর, এক থেকে দেড় মাস পর তারা ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পক্ষ থেকে ভ্রাজিষ্ণুর সফলতার খবর পান। সেই খবর পেয়ে ভ্রাজিষ্ণুর বাবা-মা সহ খুশি হন তাদের আত্মীয়-পরিজনেরা।