রাজ্য সরকারের দেওয়া অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের স্কলারশিপের কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে।অভিযোগকারীদের বক্তব্য- করণদিঘি হিমশৈলের একটি চুড়ো মাত্র, এর শেখর নাকি অনেক গভীরে এমন অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হলে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাকে রীতিমতো ধুলোয় মিশিয়ে দিচ্ছে একদল সমাজবিরোধী বলেও চূড়ান্ত অভিযোগ উঠেছে।এই বিষয়ে উপভোক্তা রবিউল হোক কি বলছেন শুনব –
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে করণদিঘি ব্লকের সাদিপুর, দোমোহনা, চৌনাগরা, ভেন্ডাবাড়ি সহ একাধিক গ্রামে। প্রথমে পড়ুয়াদের কাস্ট সার্টিফিকেটের নথি সংগ্রহ করা। তারপর ওই নথি দিয়ে রাজ্য সরকারের OASIS পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করা। জেলার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়া দেখিয়ে ভুয়ো একাউন্ট বানিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে একটি চক্র। যেসব ছাত্রছাত্রীদের নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে এই প্রতারণা চলছে তাদের কেউ পড়াশোনা ছেড়েছেন বেশ কিছু বছর আগেই। কেউবা আবার অর্থের অভাবে লেখাপড়া ছেড়ে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের কাজের উদ্দেশে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাদেরকে ‘বর্তমান’ পড়ুয়া দেখিয়ে রাজ্য সরকারের দেওয়া বিপুল পরিমান অর্থ লোপাট করছে ওই অসাধু চক্রটি। বিদ্যার্থীদের মুখেই জানা গেল- তারা কেউ কেউ লেখাপড়া করছেন করণদিঘিরই বিভিন্ন স্কুল অথবা ডালখোলা কলেজে। কিন্তু রাজ্য সরকারের ওই পোর্টালে দেখা গেল তাদেরকে দেখানো হয়েছে রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি কলেজের পড়ুয়া হিসেবে। সেই বেসরকারি কলেজের নাম ‘গুরুকুল কলেজ অব এডুকেশন’।মহঃ আজাহার উদ্দিন (ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, গুরুকুল কলেজ অব এডুকেশন)কি বলছেন শুনব –
কিন্তু ওই কলেজের রেজিস্ট্রারে এই সব ছাত্রের কোনও হদিশই মেলেনি। ফলে ওই কলেজ কর্তৃপক্ষও চাইছেন দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। কিন্তু কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সেই খোঁজেই যোগাযোগ করা হয় এই এবিষয়ে লিখিত অভিযোগকারীর কাছে। তাঁর কথায়, তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ও দোষীদের শাস্তি দিতে প্রায় বছরখানেক আগেই লিখিত অভিযোগ জানিয়েছিলেন করণদিঘি থানার আইসি ও করণদিঘির বিডিও-কে । কিন্তু বিডিও-র কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনও সদুত্তর দিতে না পারলেও তিনি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন।