মালদার ইংরেজবাজার পুরসভার রথবাড়ির নেতাজি পুরবাজারে বিগত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ভগ্ন অবস্থায় পরে রয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের কোনও সংস্কার হয় না, যে কোন অগ্নিকান্ডের মতো ঘটনা ঘটলেও পর্যাপ্ত জল পাওয়া যায়না বলেও খবর। কিছুক্ষণ বৃষ্টি পড়লেই বাজারে জল জমে যায়, সেই জল নিকাশির ব্যবস্থাও নেই বললেই চলে।
সূত্রের খবর, নেতাজি পুরবাজারে মাছের আরতটির দেওয়াল এবং ছাদের চাঙড় খসে পড়ছে । প্রায়শই, চাঙর খসে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মাথায় পড়ে ছোট-খাটো দুর্ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ফলে, বাজারে ক্রেতাসংখ্যাও কমে যাচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী দিলওয়ার হোসেন জানান, বাজারের প্রতিটি ব্লকের অবস্থা অত্যন্ত বিপজ্জনক। বাজারে মাঝেমধ্যেই ছাদের চাঙর খসে পড়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের। দীর্ঘদিন ধরে বাজারের কোন সংস্কার হয় না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
ব্যবসায়ীরা নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য নিজেদের উদ্যোগে বিল্ডিং এর ছাদের নিচের অংশটি পলিথিন এবং টিন দিয়ে কোনোরকম থাকার মতো ব্যবস্থা করে রেখেছেন। এই সমস্যা সমাধানের দাবিতে তারা সদ্য নির্বাচিত ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানকে বিষয়টি একটু নজর দিয়ে দেখার কথা বলেছেন। মালদা মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডু জানান, নেতাজি বাজার সুপার মার্কেটকে পরিণত করার ভাবনা একসময় ইংরেজবাজার পুরসভা নিয়েছিল।
প্রত্যেক ব্যবসায়ীদেরকে দোকান দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছিল পুরসভার পক্ষ থেকে। সেই সময় ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। ২০১০ সালে নেতাজি পুরবাজারকে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ আধুনিক মানের বাজারে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন বর্তমান চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী।
কিন্তু, বর্তমানে প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও নেতাজির পুরবাজার কোনোরকম পরিবর্তন হয়নি। পুরবাজারের ইমারত ভগ্ন অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, অবিলম্বে নেতাজির পুরবাজার এর ইমারত এর সংস্কার করা হোক। এ বিষয়ে ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, নেতাজির পুরবাজারকে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ সুপারমার্কেট পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে ইংরেজবাজার পুরসভা।
সূত্রের খবর, মাছবাজার ,সবজি বাজার , মুদির দোকানের মতো একাধিক ব্লক ভেঙে ফেলা হলে পর্যায়ক্রমে তৈরি হবে বহুতলসহ একটি অট্টালিকা। প্রতিটি বুনিয়াদে গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে।প্রথম ও দ্বিতীয় তলে প্রত্যেককে দোকান ঘর দেওয়া হবে বলেও জানা গিয়েছে। আগামী দু’মাসের মধ্যেই এ কাজের সূচনা হবে। কৃষ্ণেন্দুবাবু আরও জানান,” মালদার জননেতা প্রয়াত এ.বি.এ.গনি খান চৌধুরী নেতাজি মার্কেটটি তৈরি করেছিলেন। এই বাজারের প্রতিটি ইমারত সেই আমলেরই। নতুন করে সংস্কার হয়নি। ১৯৯৫ সালে আমি যখন প্রথম পুরপ্রধান হয়েছিলাম তখন থেকেই আমার ভাবনা ছিল- এই বাজারটিকে আধুনিক মানের বাজারে পরিণত করার। সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছিলাম। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের আধুনিক বাজার আমি দেখেছি সেখানে পিপিপি মডেল এর আধুনিক মানের বাজার তৈরি হয়েছে। তবে এইবার এই বিষয়টি তারা নজর দিয়ে দেখবে। “