কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার ১ নম্বর ব্লকের নয়ারহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ইচ্ছাগঞ্জ এলাকা থেকে পাওয়া গেল এক নাবালক প্রেমিক যুগলের ঝুলন্ত মৃতদেহ। রবিবার সকালে এমন মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ দুটি উদ্ধার করে। যদিও বিষয়টি খুন না আত্মহননের ঘটনা তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
সূত্রের খবর, প্রতিবেশী যুবকের সাথে গ্রামের মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অনুমান করা হয়, তাদের সম্পর্ক ছিল দুই থেকে আড়াই বছরের। দুজনই নাবালক। মৃত ছেলেটির নাম অলোক বর্মন এবং মেয়েটির নাম রাখী বর্মন।অলোক বর্মন কলেজে বি.এ তে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র এবং রাখি দশম শ্রেণীর ছাত্রী। তারা তাদের বিয়ের কথা তাদের বাড়িতে জানালে বিয়ে দিতে রাজি হননি তাদের পরিবারের সদস্যরা। সেই কারণেই হয়তো তারা দড়ি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দা, সুশীল বর্মন এই বিষয়ে ঠিক কি জানিয়েছেন শুনব-
সূত্রের খবর- তারা দু’জন একসঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে কীটনাশক পান করে এলাকার একটি গাছে চড়ে। এরপর, কাল বিলম্ব না করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে একই দড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহননের লক্ষ্যে দু’জনে ঝুলে পড়ে। দুজনকে একই গাছে একই দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ।পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙ্গা মর্গে পাঠিয়েছে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্যের সঙ্গে শোকের ছায়াও নেমে এসেছে।