দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালের হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (HDU) বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে, সমস্যায় পড়ছেন মুমূর্ষু রোগীরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসূত্রের খবর, হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটটি আরও উন্নত করার জন্য কাজ চলছে, তাই বন্ধ রাখা হয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। অন্য একটি কক্ষে এইচডিইউ(HDU) পরিষেবা চালু রেখে উন্নত করার কাজ চলতে পারত।
ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে এইচডিইউ(HDU) বেডের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। জানা গেছে, এবার তার সংখ্যা বাড়িয়ে ১২ বেডের হাইব্রিড সিসিইউ(CCU) ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। আধুনিক এইচডিইউ(HDU) করতে বেশ কিছু অত্যাধুনিক মেশিন বসানো হবে।সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। ভবনের কাজ শেষ হলেও বিদ্যুতের কাজ চলছে।
পরবর্তীতে অক্সিজেনের সংযোগের কাজও চলবে। সূত্রের খবর, নতুন ইউনিট চালু হতে সময় লাগতে পারে। ইসলামপুর হাসপাতালে এইচডিইউ(HDU) থাকায় অনেক মুমূর্ষু রোগীর জীবন বাঁচানো সম্ভব হয়েছে। এই ইউনিটে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। হাসপাতালের এইচডিইউ(HDU)-এর মতো পরিষেবা বেসরকারি নার্সিংহোমে নিতে হলে মোটা অঙ্কের টাকা ব্যায় করতে হয়। অর্থিক সঙ্গতিপূর্ণ পরিবারের ক্ষেত্রে নার্সিংহোমে চিকিৎসা করানো সম্ভব হলেও দরিদ্র পরিবারগুলির ক্ষেত্রে তা সম্ভব হয় না।
গরিব মানুষের ভরসা সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা। ফলস্বরূপ, এই ইউনিটটি বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ছেন বহু মানুষ। যতদিন ইউনিটটি তৈরি হচ্ছে ততদিন মুমূর্ষু রোগীদের নিয়ে শিলিগুড়িতে ছুটতে হচ্ছে রোগীর পরিবারকে। হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট(HDU) চালু রেখে পরিষেবা চালু রাখলে বাসিন্দাদের এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হত না।
ইসলামপুরে হাসপাতাল রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল জানান, ইউনিটটি উন্নত করার জন্য আপাতত সেটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। হাসপাতলে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট(HDU) কমপক্ষে তিন বেডের পরিষেবা চালু রেখে পরবর্তীতে ইউনিটটি আধুনিকরনের কাজ করা হবে।