Kolkata : উদ্ধারকৃত অর্থ দেখানো নিয়ে আদালতের নির্দেশ থাকতে পারে, মন্তব্য দিলীপ ঘোষের

আরও পড়ুন

টাকা উদ্ধার নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে দিলীপ ঘোষ বলেন, সম্ভবত আদালতের নির্দেশ মতো উদ্ধারকৃত অর্থের দেখানোতে নিষেধাজ্ঞা থাকতে পারে। শুক্রবার সকালে নিউ টাউন ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ থেকে ফিরে এসে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে আর কি কি বলেছেন দর্শকদের উদ্দেশে সাজিয়ে দেওয়া হল-

১. একাধিক তৃণমূল নেতার বাড়িতে সি বি আই হানা। কিছু নেতার বাড়ি থেকে টাকাও উদ্ধার হলো।

সবাই দেখছে চোখের সামনে কি হচ্ছে। কাদের বাড়িতে টাকা আছে,সে টাকা কোথা থেকে এলো! আমরা যে বঞ্চনা নিয়ে কলকাতায় সভা করলাম তার উদ্দেশ্য একটাই কেন্দ্রীয় সরকারের সমস্ত প্রকল্পের টাকা লুঠ করা হয়েছে। তৃণমূলের নেতারা লুঠ করেছে সেটা প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যখন বাড়ি থেকে টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এরকম বহু জায়গায় আছে, সবে তো মাত্র শুরু হয়েছে। যাদের যাদের নাম উঠে এসেছে প্রত্যেকের বাড়িতে তল্লাশি হওয়া উচিত।

২. টাকা উদ্ধারের ছবি আগে প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হয়েছে, এবার টাকা উদ্ধার হলো কিন্তু ছবি প্রকাশ্যে এলো না!

আমি জানিনা, হয়তো কোর্টের নির্দেশ রয়েছে। বা অন্য কোন কারণ হতে পারে। টাকা তো পাওয়া গেছে কারণ টাকা গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা যে আন্দোলন এতদিন করে এসেছি অর্থাৎ চোর ধরো জেল ভরো তার ফল।

৩. গোপনীয়তা বজায় রাখা হচ্ছে?

গোপনীয়তা নয়, তথ্য তলাস সব কিছু তো সামনে রাখার দরকার নেই, কোর্টে দিতে হয়। কোর্ট বলেছে হয়তো তাই সেই পদ্ধতি মেনে করা হচ্ছে।

৪. কেন্দ্রীয় সংস্থার টার্গেট কি তৃণমূল নেতারা? নাম বিভ্রাটের জেরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে সি বি আই!

টার্গেট নয়। সারা ভারতে শয়ে শয়ে রেড হয়। সিবিআই ইডি ইনকাম ট্যাক্স রেড করতেই থাকে। ভারতবর্ষে দুর্নীতি একটা ক্ষয় রোগে পরিণত হয়েছে। তার থেকে বাঁচাতে চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশের রাষ্ট্র পাকিস্তান দুর্নীতিতে ডুবে গেছে মানুষ হাহাকার করছে। মানুষ খেতে পারছে না সেনা অফিসাররা বিদেশে বাড়ি গাড়ি করছে। মোদীজি দেশ বাঁচাতে সেই কাজটাই করছেন। কয়েকজন নেতা মাত্র হাতে গোনা। সরকারি অফিসার আছে ব্যবসায়ী আছে রেড হয়। তার মধ্যে নেতাও আছেন! এটা একটা নেক্সাস। যেখানে তথ্য আসবে সেখানে অনুসন্ধান হবে।

৫. ভুলই যদি হয় তাহলে তৃণমূল নেতার বাড়িতেই কেনো?

কারণ চোর তো সব তৃণমূলের নেতারাই! সবার বাড়িতেই হবে, আগে পরে হয়ে হচ্ছে এই যা! কিন্তু এরা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত, একজনের সঙ্গে আরেকজনের নাম আসছে তাই রেড হচ্ছে।

৬. অমিত শার সভায় উপস্থিত এক নেতার বক্তব্য সিএএ এনআরসি লাগু করার কথা বলেছেন একই চর্বিত চর্বণ!

৭০ বছর ধরে অপেক্ষা করতে পারলেন, বাপ ঠাকুরদা শুনলো কষ্ট হলো না! আর ২ বছর অপেক্ষা করো। হিম্মত তো করেছে সরকার বিল আনার। কারোর হিম্মত হয়েছে? আমার দলের নেতাদের এই বুদ্ধি থাকা উচিত যারা ৩৭০ করতে পারে, রাম মন্দির করতে পারে, সিএএ নস্যির মত। অপেক্ষা করতে হবে। সব কিছু একসঙ্গে হয় না।

৭. এই রাজ্যে বি জে পি মুখপাত্র নেই কেনো? এই নিয়ে প্রশ্ন।

মুখপাত্র আছেন তো। শমীক ভট্টাচার্য সহ নামের লিস্ট আছে মুখপাত্রদের। মুখপাত্র কেউ হতে চাইছেন নিশ্চয়ই, সেই জন্যই এত কষ্ট হচ্ছে।

৮. মেদিনীপুর সদর ব্লকে একটি শিশু কেন্দ্রের চাল চুরির অভিযোগে। হাতে নাতে ধৃত।

সব জায়গায় হচ্ছে, কোচ বিহারেও ধরা পড়েছে। কেন্দ্রের পাঠানো ভালো চাল যায় কোথায়? সাধারণ মানুষকে পচা চাল কেনো খেতে হয়! এর আগেও ধরা পড়েছে চাল মিলে গিয়ে বস্তা খুলে প্যাকিং হচ্ছিল। নদিয়ায় আমাদের লোকেরা ধরেছে। এখানেও ধরা পড়ছে। আমি এফ সি আই তে আছি, আমাদের লোকেরা যখন রেড করতে গেছে তখন তাদের গুন্ডা দিয়ে পেটানো হয়েছে। চালকল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। গায়ের জোরে এই যে লুটপাট করার চেষ্টা হয়েছিল সেগুলো প্রকাশ্যে আসছে এখন। পুলিশকেও বাধ্য হয়ে ধরতে হচ্ছে এখন। কারণ তারা সব জানত।

৯. ব্যাংক এর অ্যাকাউন্ট নেই কিন্তু পৌঁছল এ টি এম কার্ড। খণ্ডঘোষের ঘটনা।

এটিএম কার্ড পৌঁছলো এটা তো সাধারণ ব্যাপার! ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট নেই অথচ কোটি কোটি টাকার পাহাড়। কারণ ব্যাংকে রাখতে হয় না বাড়িতে রাখতে হয় কারণ টাকা তো অবৈধ। টিএমসির এক মহামন্ত্রী বলেছেন তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, তিনি আবার দুবার তিনবারের এমপি। তিনি আবার বলছেন আমরা সবাইকে টাকা দিয়ে দেব যারা দিল্লি গেছিলেন। ব্যাংক একাউন্ট নেই টাকা নেই তাহলে টাকা দেবেন কোথা থেকে? টাকা আসছে টাকা ব্যাঙ্কে যাচ্ছে না বাড়িতে থাকছে সেগুলো রেড করলে বেরোচ্ছে।

১০. অমিত শার সভাতে উপস্থিত নেতার বক্তব্য নতুন নেতাদের প্রাধান্য দিচ্ছে দল। আপনি তো পুরনো নেতা।

এটাই আমাদের পার্টির নিয়ম নীতি। পার্টির জন্য কাজ করেছেন দাঁড় করিয়েছেন তারা তো আছেনই, নতুন এগিয়ে দিতেই হবে। নইলে তো তৃণমূল কংগ্রেসের মত হয়ে যাবে, শেষে এসে বলতে হবে বুড়ো হটাও বুড়ি হটাও! চিন্তা করার কোনো কারণ নেই সবার গুরুত্ব আছে সবাই থাকবে। তবে এটা ঠিকই বাজারে নতুন আলু এলে তার গুরুত্ব বেশি থাকে।

১১. অমিত শার সভা ফ্লপ, কটাক্ষ কুণালের!

তাতেই তো সরকার হিলে গেল। ২০ মিনিট কুড়ি মিনিটেই হিলে গেছে, আর দশ মিনিট বললে তো সরকার পড়ে যেত! ঘর-সংসার সামলান পার্টি সামলান বিজেপির দিকে তাকাতে হবে না।

১২. বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়লো ২২.৫০ টাকা।

এর আগে কমেছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ওঠানামা করে। আবার কমবে।

১৩. জাতীয় সংগীতের অবমাননা, ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফ আই আর হেস্টিংস থানায়।

এর আগে এরকম বহু ভিডিও এসেছে তৃণমূল নেতারা মঞ্চে জাতীয় সংগীত হচ্ছে এদিকে গল্প করছেন। সেসবও আমরা দেখেছি বড় বড় নামকরা সব নেতারা। এটা ঠিক কি ভুল সেটা তো আর আমরা দেখিনি বিচার করবেন স্পিকার। তথ্য সহ কথাবার্তা হবে।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close