আর দেরি নয়, চলতি সপ্তাহেই জলপাইগুড়ির উপ নির্বাচনে জয়ী বিধায়ককে শপথ গ্রহণ করাতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত সরকারের পরিষদীয় দফতর।
ধুপগুড়ির উপ-নির্বাচনে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর শপথ গ্রহণ নিয়ে আজ, সোমবার পুনরায় রাজ্যপালকে চিঠি দেন এরাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। এদিন বেলা ১২টায় সেই চিঠি রাজভবনে পাঠান এরাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সোমবারই আমেরিকার উদ্দেশে উড়ে যাচ্ছেন। সেখানকার সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত একাধিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। তবে তার এই বিদেশযাত্রার কারনে ধুপগুড়ির নবনির্বাচিত বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানটি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজভবন থেকে শুক্রবার ফোন করে পরদিন শনিবারই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে বলা হয়। রাজ্যপাল নিজে এসে শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলেও জানানো হয়েছিল। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, রাজ্যের পরিষদীয় দফতরকে এড়িয়ে সরাসরি বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। বিষয়টিকে নজিরবিহীন আখ্যা দিয়েছেন শোভনদেব। রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রীর বক্তব্য- রাজ্যপাল অনুপস্থিত থাকলে বিধানসভার অধ্যক্ষকে দিয়েও শপথবাক্য পাঠ করানো হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে সেই অনুমোদন মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে তৃণমূল কংগ্রেস শিবির। তাদের অধিকাংশেরই বক্তব্য- চলতি সপ্তাহে যদি বিধায়ক শপথ নিতে না পারেন, সেক্ষেত্রে ধুপগুড়ির মানুষ এক সপ্তাহের জন্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন।
অন্যদিকে পদ্ম শিবিরের ধারনা, পরিষদীয় দফতর থেকে বিধায়কের শপথ গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠিয়ে রাজভবনের ওপর চাপ বাড়িয়ে রাখতে চাইছে রাজ্যের পরিষদের দফতর।
তবে আমেরিকা থেকে রাজভবনের মাধ্যমে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে ধুপগুড়ির বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানটি নিয়ে নির্দেশ দেন কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
কলকাতা এবং ধুপগুড়ি থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস টাইমস ফোর্টিন বাংলা।