এ যেনও হাতে চাঁদ পেলেন গ্রামের মানুষ। রায়গঞ্জ ব্লক কার্যত পৌঁছে গেল গৃহস্থের দাওয়ায়। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তিনটি নদী পেরিয়ে পৌঁছলেন ‘মিশন গোয়ালদহ’ গ্রামে।উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন নিল একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যে অঞ্চলের মানুষ আগে কোনোদিন দুয়ারে সরকার শিবিরে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাননি, শনিবার সেরকমই এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত করল ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। শনিবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কার্যালয় বন্ধ থাকে। ছুটির দিনে বাড়ির কাজ ভুলে কাঠফাটা রোদে দূরের গ্রামে শিবির করলেন রায়গঞ্জ ব্লকের সরকারি কর্মীরা। শিবিরে ভিড় করে সরকারি সুযোগ-সুবিধা নিতে দেখা গেল ওই এলাকার বাসিন্দাদের। রায়গঞ্জ ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, ৯ নম্বর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়ালদহ গ্রামটি বিহার সীমান্তে অবস্থিত।
বিশাহার ঘাটে নৌকোয় চেপে ওপারে গিয়ে আরও দেড় কিমি হাঁটলে, তবে পৌঁছনো যায় গোয়ালদহ গ্রামে। সেখানে গতবার দুয়ারে সরকারের একটি বিশেষ শিবির ছাড়া আর কোনও শিবির না হওয়ায় ব্লক প্রশাসনই সেখানে পৌঁছনোর সিদ্ধান্ত নেয়। এদিন গোয়ালদহ প্রাথমিক স্কুলে দিনভর চলল ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির।
প্রশাসনের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন, মূলত লক্ষ্মীর ভান্ডার, কৃষক বন্ধু, কাষ্ট সার্টিফিকেট, জমির কাগজ সঠিক ভাবে তৈরি করার কাউন্টারে ভিড় জমিয়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে নতুন পোশাক পড়ে নানান সমস্যার সমাধান করতে পেরে খুশি ওই গ্রামের বাসিন্দারা। বিডিও অফিসের এক আধিকারিক জানান, রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৭ কিমি দূরে অবস্থিত এই শিবিরের ২৭টি স্টলে এদিন ৬০ জনের বেশি সরকারি কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। তবে দুয়ারে সরকার কর্মসূচির যে ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে তা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিরোধীরাও।
ফোর্টিন ওয়েবডেস্ক, রায়গঞ্জ।