সদ্য ঘোষিত মাধ্যমিকের ফলাফলে প্রথম দশে একজন পরীক্ষার্থীও না থাকলেও সেই হতাশা পুষিয়ে দিল বুধবারের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল।
এবারের উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পরীক্ষার্থীর নাম আবু সামা। তিনি চাকুলিয়ার কানকি প্রমোদ দাসগুপ্ত মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ছাত্র। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৫। তিনি উচ্চমাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। আবুর সাফল্যে রীতিমত উচ্ছ্বসিত বিদ্যালয়ের শিক্ষক থেকে শুরু করে সমস্ত পড়ুয়ারা। ছেলের সাফল্যে খুশি বাবা জাহিরুদ্দিনও। আবু রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে বিদ্যালয়ের মুখ উজ্বল করেছে। সে যেনও মানুষের মত মানুষ হতে পারে এই কামনা করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঞ্জয় সিনহা। কঠোর পরিশ্রমের ফলে এই সাফল্য এসেছে। এই সাফল্যের জন্য বাবা-মা এবং শিক্ষক শিক্ষিকার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আবু।
অন্যদিকে এরাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে নবম স্থান দখল করেছেন ইসলামপুর গার্লস হাই স্কুলের ছাত্রী প্রত্যুষা দাম। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৮।
কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী পুষ্মিতা মোদক রাজ্যের মধ্যের দশম স্থান অধিকার করেছেন। তিনি কালিয়াগঞ্জ সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্রী। তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। পুষ্মিতার বাড়ি কালিয়াগঞ্জের পাবনা কলোনীর সরলা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল রোডে। আগামীতে অধ্যাপিকা হওয়ার বাসনা প্রকাশ করেছেন তিনি। ছোট বেলা থেকেই তিনি ছবি আঁকতে ভালো বাসতেন। বাবা রতন মোদক একজন ব্যবসায়ী ও মা পলি মোদক গৃহবধূ। দিনে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা পড়াশোনা করতেন পুষ্মিতা।
তবে উত্তর দিনাজপুরে রাজ্যে প্রথম দশে ৩ জন পরীক্ষার্থীর নাম থাকায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
উত্তর দিনাজপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।