রাজ্যস্তরের বক্সিং প্রতিযোগিতায় ব্রোঞ্জ পদক এল মালদহের কৃষক পরিবারের ঘরে। কৃষি lকাজ করে বক্সিং এ পদক জিতলেন এক যুবক।ছোটবেলা থেকে বক্সিং শখ থাকলেও নানান সমস্যায় খেলা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। মাঝপথে খেলা ছাড়তে হয়েছিল। অবশেষে আবারও কৃষিকাজের পাশাপাশি মাত্র চার মাস বক্সিং প্রশিক্ষণ নিয়েই ব্রোঞ্জ পদক জিতলেন রাজকুমার রায়। কৃষিকাজ করেই রাজ্য বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে ব্রোঞ্জ পদক জিতে মালদহের নাম উজ্জ্বল করলেন রাজকুমার।
রাজ্যস্তরের প্রতিযোগিতায় পদক জিতে মালদহের বক্সিং ভবিষ্যৎ দেখাচ্ছেন বছর ত্রিশের ওই যুবক। ওয়েস্ট বেঙ্গল প্রগ্রেসিভ বক্সিং এসোসিয়েশনের উদ্যোগে বেহালায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপের আয়োজন করা হয়। মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে রাজ্যস্তরের এই বক্সিং প্রতিযোগিতায় মোট চারজন অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে পুরাতন মালদাহের রাজকুমার রায় ৭৫ কেজি বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই প্রথম রাজ্যস্তরের কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে পদক জিতলেন রাজকুমার।
মালদহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে বক্সিং প্রশিক্ষণ শিবির শুরু করা হয়েছে। জেলার বিশিষ্ট কোচ প্রণব কুমার ভট্টাচার্য নিয়মিত বক্সিং প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন জেলার খুদে ও উঠতি প্রতিভাবানদের। একসময় তিনি রাজকুমার রায়কে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। আর্থিক অনটন ও বিভিন্ন সমস্যা থাকায় রাজকুমার মাঝপথে প্রশিক্ষণ ছেড়ে দেন। কোচ প্রণব কুমার ভট্টাচার্য পুনরায় তাকে মাঠে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। প্রায় চার মাস যাবৎ নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তাকে। মাঝে গত ১৮ থেকে ২০ মে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রাজকুমার রায় অংশগ্রহণ করেন। এই প্রথম তিনি কোনও রাজ্যেস্তারের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়। আর তাতেই বাজিমাত। প্রথম প্রতিযোগিতায় নেমেই ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন রাজ। তার এমন সাফল্যে খুশি কোচ প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। আগামীতে তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন জেলার বক্সিং কোচ। প্রতিভা রয়েছে সুযোগ পেলে আগামীতে আরও ভাল ফল করবে রাজকুমার এমনটাই আশা জেলার ক্রীড়া প্রেমীদের।
রাজকুমার জানান, ইচ্ছে- আগামীতে জেলার জন্য প্রতিযোগিতায় নেমে স্বর্ণপদক জেতা। শুধুমাত্র রাজ্য স্তরে নয়, জাতীয়স্তরে খেলারও ইচ্ছে রয়েছে। তবে মালদার বক্সিং যেভাবে এগিয়ে চলেছে তাতে আগামীদিনে আরও রাজকুমার রায়রা উঠে আসবেন কি না, তা অবশ্য সময়ই বলবে।
মালদা থেকে দেবাশীষ দাসের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।