খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে চালানো হচ্ছে। শনিবার পুলিশ সুপার দফতরে বসে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির জেলা সভাপতি সুকান্তবাবু। পুলিশ সুপার দফতরে কোনও আধিকারিক না থাকায় দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-সহ তিন সাংসদ ও চার বিধায়ক। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, যতক্ষণ না পুলিশ সুপার দফ্ত্বরে আসছেন ততক্ষন তারা অবস্থান চালিয়ে যাবেন।
উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জের গাংগুয়া গ্রামে কিশোরী খুনের ঘটনায় শনিবার এলাকায় গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত মজুমদার-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা। ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার দাবি করেছেন। পুলিশ সুপার খুনের ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চাইছে বলে অভিযোগ করেন সুকান্তবাবু। পুলিশ সুপারের এই দাবির বিরুদ্ধে তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। শনিবার ঈদ উপলক্ষে সমস্ত সরকারি দফতর বন্ধ। বন্ধ পুলিশ সুপার দফতরও। সুকান্তবাবু-সহ বিজেপি নেতৃত্ব পুলিশ দফতরে পৌঁছলে গেটে তালা দেখতে পান। বেশ কিছুক্ষণ পর গেটের চাবি পাওয়া গেলেও পুলিশের আধিকারিকরা না থাকায় রাজ্য সভাপতি-সহ বিজেপি নেতৃত্ব অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন।
রায়গঞ্জ থেকে প্রবাল সাহার সঙ্গে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।