ঝালমুড়ি, চা বিক্রি করে কোটিপতি হওয়া যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে ব্যঙ্গ করে ঝালমুড়ি, ঘুগনি, চা বিক্রি করলেন উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের হাতে বানানো ঝালমুড়ি, ঘুগনি, চা কিনে খেলেন পুরসভার বাসিন্দারা। ক্রেতারা জানিয়েছেন, ব্যাবসা ভাল হলে তারাও এই ব্যাবসা শুধু করবেন।
সম্প্রতি কলকাতা নেতাজি ইন্ডোর ষ্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বেকার যুব সমাজের উদ্দেশে বলেছিলেন সামনেই দুর্গা পুজো। বেকার যুবকরা বাড়িতে বসে না থেকে এক হাজার টাকা হাতে নিয়ে ঝালমুড়ি, ঘুগনি, চা বিক্রি করলে কোটিপতি হওয়া যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে ঘিরে জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি পথে নেমে মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন। উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ পুরসভার বিজেপি কাউন্সিলররা বুধবার পুরসভার সামনে ঝালমুড়ি, চা,ঘুগনি বিক্রি করে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। নাগরিক পরিষেবা নিতে আসা বেশ কয়েকজন নাগরিক কিনে ঝালমুড়ি খান। আবার বেশ কয়েকজন নাগরিককে বিনে পয়সায় চা এবং ঝালমুড়ি খাওয়ায় কাউন্সিলররা। কাউন্সিলরদের এই অভিনব প্রতিবাদকে সমর্থন জানিয়েছেন কালিয়াগঞ্জের একাংশের বাসিন্দারা।বাসিন্দাদের দাবি, চাকরি না পেয়ে অন্য পেশায় গিয়েছিলেন। সেখানেও তেমন আয় হচ্ছে না। ঝালমুড়ি, ঘুগনি, চা বিক্রি করে আয় বেশী হলে তারাও এই পেশায় ঝুকবেন।
কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পুরপিতা জানিয়েছেন, কোন কাজই ছোট নয়। তার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে এটা প্রমাণ। তিনি উচ্চ শিক্ষিত হয়েও চাকরি না করে ব্যবসা করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন- সিঙ্গারা বিক্রি করেও কর্মসংস্থান হয়। মোদিজির ওই বক্তব্যকে সমর্থন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী যা বলেছেন সেই বিষয়টিকে নিয়ে বিজেপি ব্যঙ্গ করছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, কালিয়াগঞ্জ।