কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সাহেবঘাটা গ্রামে নাবালিকার মৃতদেহ নির্মমভাবে স্থানান্তরের ঘটনায় রাজ্য জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। অভিযুক্ত চার পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করেছিল উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারে পুলিশকে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার কৌশল করায়ত্ত করতে পৃথকভাবে প্রশিক্ষিত করল রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে রায়গঞ্জ থানায় একটি মৃতদেহ কাপড়ে কিভাবে নিয়ে যাওয়া যায় তার পরীক্ষামূলকভাবে পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। পুলিশের উচ্চ পদস্থ কর্তারা এই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নিয়েছিলেন।সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই রাজ্যজুড়ে মৃতদেহ বহনের ডেমনেস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রাজ্যের সমস্ত থানাতেই এই জাতীয় ডেমোনস্ট্রেশনের করা হবে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির সাক্ষী যেনও রাজ্যবাসীকে না থাকতে হয় সেই কারণেই এমন প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এনিয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি হননি।
উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ ব্লকের গাংগুয়া গ্রামে নাবালিকাকে ধর্ষন ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সাহেবঘাটা এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিলেন।রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই উত্তেজনা আরও বাড়ে।পুলিশ দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি ছোড়ার অভিযোগ ওঠে। পুলিশও পাল্টা লাঠিচার্জ এবং কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে নাবালিকার মৃতদেহ অমানবিকভাবে টেনে হিঁচড়ে উদ্ধার করেছিল বলে ভিডিও ভাইরাল হয়। রাজ্যবাসী সেই নির্মম ঘটনার সাক্ষী থেকেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশের এই ভূমিকার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পুলিশের ভূমিকার ক্ষোভ প্রকাশের পরই চার পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করতে বাধ্য হয়েছিলেন রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার।
তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুলিশ যে আগামী দিনে এমন অবমাণবিক আচরণ আর করবেন না তা মৃতদেহ সরানোর প্রদর্শনী দেখেই পরিষ্কার।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।