কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনকাণ্ডের পর ২৭ এপ্রিল পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় কালিয়াগঞ্জেরই যুবক মৃত্যুঞ্জয় বর্মণের। সিআইডি-র তদন্ত অনুযায়ী, তার পুলিশের গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল সিআইডি-র তদন্তে। আগামী ১২ মে হাইকোর্টে সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।
সূত্রের খবর, এই তদন্তে সিআইডি-র ইতিহাসে প্রথমবার থ্রি ডি স্ক্যানার ব্যবহার করা হয়। গত ২৭ এপ্রিল রাতে যে পুলিশ কর্মীরা বিষ্ণু বর্মণের বাড়িতে অভিযানে গিয়েছিলেন তাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সঙ্গে ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। সেই ঘটনার দিন অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক ২ রাউন্ড গুলি চালান। এক রাউন্ড শূন্যে ফায়ার করেন এবং দ্বিতীয় গুলিটি সরাসরি মৃত্যুঞ্জয়কে লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। সেই গুলি মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে ঢুকে ফুঁড়ে বেরিয়ে যায়। এরপর তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থল থেকে একটি বুলেট হেড উদ্ধার করা হয়। সেই বুলেটটি মৃত্যুঞ্জয়ের শরীরে ঢুকেছিল কিনা নিশ্চিত করবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের দাবি, সেই ঘটনার দিন মৃত্যুঞ্জয়কে গুলি করার পর তাকে ঘিরে ধরেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে ছিটকে পড়ে যায় তার চশমা। সেই অবস্থায় তার সার্ভিস পিস্তল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তখন নিজের প্রাণ বাঁচাতে আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালান বলে অভিযুক্ত ওই অফিসার সিআইডি-র কাছে দাবি করেছে।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা সিআইডি-কে যে বয়ান দিয়েছেন তাতে পুলিশের উপর হামলার কথা অস্বীকার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের দেওয়া বয়ানে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকের ভাঙা চশমা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেননি তদন্তকারীরা। CID র দাবি, ওই পরিবার অজ্ঞাত কোনও জায়গায় রয়েছেন। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই সব তথ্যই হাইকোর্টকে জানানো হবে বলে জানা গেছে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, কালিয়াগঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর।