টাকার অভাবে মৃত শিশু সন্তানকে ব্যাগে করে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসার ঘটনায় মৃত শিশুর বাবা অসীম দেবশর্মার সঙ্গে দেখা করতে এলেন অংকুর দাসের নেতৃত্বে গ্রিন জলপাইগুড়ি নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। অংকুর বাবু অসীম বাবুর আর্থিক অবস্থার হাল দেখে স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। অংকুরবাবুর দাবি এই পরিবারকে বিনা পয়সায় এ্যাম্বুলেন্স দেওয়া উচিত ছিল। অর্থের অভাবেই অসীমবাবুকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। অংকুর বাবুর অভিযোগ, এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট রাজের কারনেই অসীমবাবুকে এই সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আবারও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
গত ৫ জানুয়ারি জয়কৃষ্ণ দেওয়ানের স্ত্রী লক্ষ্মী দেওয়ানের দেহ কাধে করে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাজ্য জুড়ে হইচই পড়ে। ঘটনায় গ্রিন জলপাইগুড়ির নামের একটি স্বেচ্ছাসেবি সংস্থার কর্নধার অংকুর দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। রবিবার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার পাঁচ মাসের শিশু সন্তানের শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়। শিশু সন্তানের মৃত্যুর পর এ্যাম্বুলেন্সের অভাবে দেহ ব্যাগে করে শিলিগুড়ি থেকে কালিয়াগঞ্জে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার এই ঘটনায় খোঁজ নিতে আসেন জলপাইগুড়ি গ্রিন সংস্থা। মৃতার স্বামী জয়কৃষ্ণ দেওয়ান এবং গ্রিন জলপাইগুড়ির কর্নধার অংকুর দাস ডাঙ্গিপাড়ায় আসেন। মৃত শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন গ্রিন জলপাইগুড়ির সদস্যরা। সংস্থার কর্নধার অংকুর দাস জানান,পুরো ঘটনাটি জানতেই তাদের কালিয়াগঞ্জে আসা। জয়কৃষ্ণবাবুর স্ত্রীর মৃত্যুর সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট রাজ ভেঙে দেবার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই দাবিকে গুরুত্ব না দেওয়ায় অসীমবাবুকে এই সমস্যার মধ্যে পড়তে হল। পুরো ঘটনাটি নিয়ে আবারও তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এ্যাম্বুলেন্স সিন্ডিকেট রাজ ভেঙে দেবার দাবি জানানো হবে। মৃত পরিবাররা বিনা পয়সায় এ্যাম্বুলেন্স পান তারা সেই দাবি জানাবেন বলে অংকুর বাবু জানিয়েছেন।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।