বুধবার সকালে কংগ্রেস এবং পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগদান করলেন একঝাঁক তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। রায়গঞ্জের ইটালের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য প্রথমে মোহিত সেনগুপ্ত-র হাত ধরে কংগ্রেসে যোগদান করেন। এদিনই কংগ্রেসে যোগদান করার পর খবর ছড়িয়ে পড়তেই পুনরায় বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে তারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। মনোনয়ন পর্বের মাঝেই এক আশ্চর্যজনক দলবদলের সাক্ষী হয়ে রইল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ব্লকের ৯ নম্বর গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের ইটাল গ্রামের বাসিন্দারা। এহেন ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনীতিতে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টা নাগাদ ইটালে বড় মসজিদের পাশের ময়দানে এই উপলক্ষে একটি যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত, যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তুষার গুহ-সহ অন্যান্য কংগ্রেস নেতৃত্ব। এদিন যোগদানকারীদের হাতে কংগ্রেসের দলীয় পতাকা তুলে দেন দলের জেলা সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। যদিও এধরনের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন গৌরী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নুরুল হক।
বেলা গড়াতে না গড়াতেই আবার দলবদল তাদেরই। যে আইনুল হক টাকার বিনিময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট বন্টনের অভিযোগ তুলে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন তিনিই আবার এদিন রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর হাত ধরে পুনরায় ফিরে আসেন তৃণমূল কংগ্রেসে।
যদিও এই দলবদলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ জাতীয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহ জানান, যেখানে পুরো একটা বুথ কংগ্রেসে যোগদান করেছে, সেখানে তৃণমূল ভয় পেয়ে একজনকে তুলে এনে যোগদান করিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের ঘর ভাঙ্গা দেখে ভয় পেয়েছে।
তবে ঘন ঘন দল বদলে যে নেতা-নেত্রীদের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পায়, তা নির্বাচনের পরই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারেন মানুষ।
রায়গঞ্জ থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।