অমানবিকভাবে মৃতদেহ টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে চার পুলিশ অফিসারকে সাসপেন্ড করল রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সানা আখতার।সোমবারই নির্দেশ কার্যকরি করা হয়েছে বলে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, কিশোরীকে ধর্ষন করে খুন করার অভিযোগে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে মৃতদেহ আটকে রেখে এলাকার বাসিন্দারা বিক্ষোভ করছিলেন। পুলিশ সেই বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ পরে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়। আন্দোলনকারিরা সেখান থেকে ছত্রভঙ্গ হলে পুলিশ মৃত কিশোরীর দেহ টেনে হিচড়ে ছেচড়ে নিয়ে যায়। এই দৃশ্য দেখার পর রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ সুপার সানা আখতার জানিয়েছেন কি পরিস্থিতিতে দেহটিকে এভাবে তাদের নিয়ে যেতে হয়েছে তা জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।সেই কমিটির রিপোর্ট হাতে আসার পরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তদন্ত কমিটির রিপোর্টএ চার পুলিশ কর্মির কর্তব্যের গাফলতির অভিযোগ মিলেছে। এই চার পুলিশ কর্মির মধ্যে তিনজন কালিয়াগঞ্জ থানার একজন কর্নজোড়া পুলিশ ফাড়ির পুলিশ আছেন।পদমর্যদায় তারা এ এস আই পদে আছেন। পুলিশ সুপার সানা আকতার আরো জানিয়েছেন, ঘটনার পর এলাকা শান্তিপূর্ন আছে। গ্রামবাসিদের গুজবে কান না দেবার আবেদন জানিয়েছেন। ডি এস পি পদমর্যদার একজন অফিসার ঘটনার তদন্ত করছেন। জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগ মেনে নেন নি পুলিশ সুপার। তিনি জানিয়েছেন, তদন্তকারি অফিসার সহ ময়নাতদন্তের চিকিৎসকরা কমিশনের চেয়ারম্যানের সঙ্গে মিলিত হয়েছিলেন।
উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।