বৃহস্পতিবার কাকভোরে রায়গঞ্জের বুলেট শোরুমে তল্লাশ-অভিযান চালালো আয়কর দফতর এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর যৌথ দল। তারা রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরে প্রাসাদোপম কর্পোরেট কার্যালয়টিতে দীর্ঘক্ষণ খাতাপত্র পরীক্ষা করেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্পোরেট অফিসে তল্লাশি চলছে। যত সময় ধরে তল্লাশ অভিযান চলছে পাশাপাশি কৌতূহলের পারদও বাড়ছে রায়গঞ্জের মানুষের।
অন্যদিকে কলকাতা দৈনিক থেকে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে- “সব জায়গা থেকে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, বিধায়কের বাড়ি থেকে একাধিক কোম্পানির সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের নথি মিলেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু কাগুজে কোম্পানির সঙ্গেও লেনদেন দেখানো হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারী জোড়া সংস্থা। আয় ব্যয়ের নথি যাচাই করা হচ্ছে কালো টাকা সাদা করার জন্য সেগুলি খোলা হয়েছিল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বিধায়কের মোবাইলে আসা মেসেজগুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সূত্রের খবর-গত পাঁচ বছরে সংস্থাগুলিতে লেনদেনের পরিমাণ লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে আয়কর জমা পড়েনি। কাগুজে কোম্পানিতে একাধিক ডিরেক্টর বসানো হয়েছিল। বাস্তবে তাদের অস্তিত্বই নেই। এসব বিষয়ে বিধায়ককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারী অফিসাররা”।
যদিও কৃষ্ণ কল্যাণীর জ্যাঠতুতো ভাই প্রদীপ কল্যাণী বিষয়টিকে একটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিহিত করেছেন। তবে পাবলিক একাউন্টস কমিটি (পি এ সি)-র চেয়ারম্যান বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর বাড়িতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দেওয়ায় রায়গঞ্জ শহর জুড়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। প্রত্যেকেই জানতে চাইছেন এর ফলাফল কি হতে চলেছে? টাইমস ফোর্টিন বাংলার নজর থাকবে রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণীর আয়কর এবং ইডি হানার আপডেট খবর নিয়ে।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি এবং নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট টাইমস ফোর্টিন বাংলা।