খোদ রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর কেন্দ্র থেকেই বেশ কিছু সংখ্যালঘু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিলেন। সংখ্যালঘু মানুষের হাতে বিজেপি দলের পতাকা তুলে দিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলত্যাগী সংখ্যালঘুরা জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেসে থাকাকালীন তারা কোনও সহযোগিতা পাননি। তারা শুধু দলের হয়ে কাজই করে গিয়েছেন। দলের নেতাদের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়েই তারা দলত্যাগ করলেন। বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ, এন আর সি-র ভয় দেখিয়ে তাদের আটকে রেখেছিলন। সংখ্যালঘুদের ভুল ভাঙতে শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সংখ্যালঘু মানুষ নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নে সামিল হচ্ছেন।
উত্তর দিনাজপুর জেলার দাড়িভিট হাইস্কুল গুলিবিদ্ধ হয়ে দুই ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এন আই এ কে তদন্তভার দিয়েছে কলকাতা উচ্চ আদালত। শনিবার নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেই কর্মসূচি শেষ করে ইসলামপুর বাস ষ্ট্যান্ডে এক কর্মীসভায় অংশ নেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি। সেখানেই উত্তর দিনাজপুর জেলার পাঞ্জিপাড়া এলাকার বেশ কিছু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিতে যোগ দেন। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুকান্তবাবু ইসলামপুরের বিধায়ক করিম চৌধুরী বলেছেন- তৎকালীন বিধায়ক সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে এই ছাত্রকে প্রাণ হারাতে হ’ত না। করিম চৌধুরী মাঝেমাঝে সত্য ঘটনা বলে দেওয়ায় তাঁকে দলের নেতারা পছন্দ করেন না। এই ঘটনার এন আই এ তদন্ত হলে যারা এখানে উস্কানিদাতা ছিলেন তাদের প্রত্যেকেকেই সাজা হবে। মন্ত্রী এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু বলেন, মন্ত্রী একজন বড় চোর। সাংবাদিকদের অপেক্ষা করতে বলেন, এক এক করে সব মন্ত্রীই জেলে ঢুকে যাবেন। সংখ্যালঘু মানুষদের মিথ্যা এন আর সি, সি এ এ-র ভয় দেখিয়ে এতদিন বোকা বানানো হয়েছিল। চাকরি নেই, শিক্ষা নেই। সংখ্যালঘুরা এবার বুঝতে পেরে নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নমূলক কর্মযজ্ঞে সামিল হয়েছেন। দলত্যাগী তৃণমূল কর্মী মুন্না আজাদ সালাম জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে কাজ করলেও মানুষের পাশে থাকা যায় না। তাই তারা বিজেপিতে যোগ দিলেন। এদের শ্লোগান সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।