নিখোঁজ বধুর গলিত দেহ উদ্ধার, সৎ ছেলে-সহ গ্রেফতার ৪

আরও পড়ুন

গুনে গুনে সাত মাস ২৮ দিন আগে সৎ মা অর্চনা বর্মনকে মেরে পুঁতে দিয়েছিল গুণধর সৎ ছেলে গোপাল বর্মন-সহ বাকিরা। বুধবার রাত তিনটে নাগাদ বজ্রপাতসহ বৃষ্টির মাঝে নিখোঁজ অর্চনা বর্মনের মৃতদেহ উদ্ধার করে কর্ণজোড়া ফাঁড়ির পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরনো অভিযোগের সঙ্গে নতুন সাক্ষীদের বয়ান মিলিয়ে ৪ যুবককে গ্রেফতার করা হয়। এরা হ’ল গোপাল বর্মন, ফুলেশ্বর মাহাতো, অচিন্ত্য বর্মন এবং বসন্ত বর্মন।
অভিযোগ, গত বছর ১০ অক্টোবর সৎ মাকে হত্যা করে প্রথমে বাড়িতে বস্তাবন্দি করে রেখে দেয় সৎ ছেলে-সহ সঙ্গীরা। এরপর মারুতি সুজুকিতে চাপিয়ে রাতের অন্ধকারে পশ্চিম ছটপারুয়ার একটি ভেস্ট জমি লাগোয়া পরিত্যক্ত নালার কাছে মাটি খুঁড়ে আততায়ীরা পুঁতে দেয় অর্চনা বর্মনের মৃতদেহ।
প্রসঙ্গত,৪ বছর আগে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে অর্চনা বর্মনকে বিয়ে করেন অজয় বর্মন। পরবর্তীতে পারিবারিক কলহের জেরে গ্রেফতার হন অজয়। বিচারাধীন বন্দি অবস্থাতেই গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে মৃত্যু ঘটে অজয়ের। তার ঠিক ১৫ দিনের মাথাতেই আশ্চর্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান অজয়ের দ্বিতীয় স্ত্রী অর্চনা বর্মন। পুলিশকে ঘোল খাওয়াতে সৎমায়ের নিখোঁজের খবর প্রথম থানায় জানিয়েছিল গোপাল-ই । পরবর্তীতে অর্চনার বাবা জগবন্ধু বর্মনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সৎ ছেলে গোপাল-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাক্ষীর অভাবে গোপালরা অর্চনা খুনের মামলায় ছাড়া পেয়ে যায়।
কিন্তু জলের সাক্ষী বুদবুদ, ধর্মের কল বাতাসেও নড়ে। অর্চনা খুনে পরোক্ষভাবে জড়িতরা বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। বুধবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় নতুন করে অর্চনার মৃতদেহ উদ্ধারের পালা। ওই রাতেই বজ্রপাত সহ বৃষ্টির মাঝে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার করে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার কর্মীরা।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার ডিএসপি (সদর) রিপন বল বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন- সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিটা তদন্তের পর জানানো যাবে।
ফোর্টিন টাইমলাইন, রায়গঞ্জ।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close