Uttar Dinajpur : আতঙ্কে ঘর ছাড়া মৃত্যুঞ্জয়ের পরিবার

আরও পড়ুন

যিনি সন্তানহারা হয়েছেন তাদেরই ভয়ে আতঙ্কে ঘর ছাড়া থাকতে হচ্ছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকছে উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের চাঁদগাঁ বাসিন্দারা। এস সি কমিশন মৃতের পরিবারকে গাড়ি করে গ্রামে নিয়ে এলেও জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা গ্রামে উপস্থিত না থাকায় তাদের গ্রাম থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যেত হল।

সূত্রের খবর, চাঁদগাঁ গ্রামে কি ঘটেছিল? গত ২১ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ থানার গাংগুয়া গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষন করে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিল। মৃতের পরিবার মৃতদেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করতে গেলে গ্রামবাসীদের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেধেছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৫ এপ্রিল রাজবংশী এবং আদিবাসি সংগঠনের পক্ষ থেকে কালিয়াগঞ্জ থানায় স্মারকলিপি দিতে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ বেধেছিল। কালিয়াগঞ্জ থানায় বেশ কিছু এলাকায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল এছাড়াও কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধরের ঘটনা ঘটেছিল। এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছিল কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্য বিষ্ণু বর্মনের বিরুদ্ধে । ২৭ এপ্রিল কালিয়াগঞ্জ থানার পুলিশ কালিয়াগঞ্জ থানার চাঁদগাঁ গ্রামে বিষ্ণু বর্মনকে গ্রেফতার করতে যায়।পুলিশ বিষ্ণুকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের তুলে আনতে গেলে গ্রামবাসীরা বাধা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দুই রাউন্ড গুলি চালালে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের মৃত্যু হয়েছিল। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়ির পাশে সি বি আই তদন্তের আশায় সমাধিস্ত করে রাখেন। ঘটনার পর থেকে পরিবারের উপর বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই আতঙ্কেই পরিবারের সদস্যরা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। শুক্রবার জাতীয় এস সি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান তদন্তে আসেন।পরিবারের সদস্যদের অজনা জায়গা থেকে গাড়ি করে গ্রামে নিয়ে আসেন। পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা গ্রামে না থাকায় পরিবার সদস্যরা গাড়ি থেকেই নামেন নি। মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের বাবা রবীন্দ্রনাথ বর্মন ভয়ে কোন কথাই বলতে রাজী হন নি। মৃতের ভাই মৃনালকান্তি বর্মন জানান, এস সি কমিশনের সদস্যরা তাদের গ্রামে এনেছেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে। তাই তারা বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। রাজ্য সরকার ঘটনার তদন্তভার সি আই ডি- কে দিলেও সেই তদন্তে তাদের আস্থা নেই। তারা সি বি আই তদন্তের দাবিতে অনড়।

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close