এ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে মৃত সন্তানকে ব্যাগ করে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কালিয়াগঞ্জে আসার ঘটনায় শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নবান্ন। দুই জেলার রিপোর্ট হাতে আসার পরই নবান্নর তরফ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করবে বলে সূত্রের খবর।এব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টেলিফোন ধরেন নি। তবে রায়গঞ্জ মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি তাদের নজরে আসার পরই ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের অসীমবাবুর বাড়িতে পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।
উল্লেখ্য, রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মুস্তাফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা অসীম দেবশর্মার পাঁচ মাসের শিশু সন্তানের শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছিল। অসীমবাবু এ্যাম্বুলেন্সের চালকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা আট হাজার টাকা দাবি করেছিল অভিযোগ।দুস্থ অসহায় সদ্য সন্তান হারা পিতা সেই মোটা টাকা দিতে পারেন নি। উপায়ান্তু না পেয়ে অসীমবাবু তার মৃত সন্তানকে ব্যাগে ভোরে বেসরকারি বাসে শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে কালিয়াগঞ্জে পৌছে যান। এঘটনা জানাজানি হতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বিষয়টি নবান্নের নজরে আসতেই শিলিগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সুপার এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা গেছে।রায়গঞ্জ মহকুমা শাসক কিংশুক মাইতি জানিয়েছেন, ঘটনাটি তাদের নজরে আসার পরই কালিয়াগঞ্জ ব্লক প্রশাসনের কর্তাদের মৃত শিশুর পিতা অসীমবাবুর বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। সমব্যাথি প্রকল্পের অর্থ তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। অসীমবাবু পরিযায়ি শ্রমিক হবার কারনে তার স্বাস্থ্যসাথীর আওতার বাইরে ছিলেন।প্রশাসনিক উদ্যোগে তাকে স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় আনা হয়েছে। আগামীতে এই পরিবারকে সবরকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।