প্রায় পাঁচ বছর পর দাড়িভিট কান্ডে এন.আই.এ তদন্ত শুরু করল। শনিবার এন.আই.এ-র পাঁচ জন
সদস্যের তদন্তকারী দল দাড়িভিটে পৌঁছন। তদন্তকারী দলটি দাড়িভিটে পৌঁছে মৃত তাপস বর্মনের মা মঞ্জু বর্মনের সঙ্গে দেখা করেন। তারা দাড়িভিট এলাকাটি পুরো ঘুরে দেখেন। বেশ কিছুক্ষণ তারা সেখানে থাকার পর তদন্তকারী দলটি এলাকা ছাড়েন। ইসলামপুর থানার পুলিশ তদন্তকারী দল এন.আই.এ-র ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ২০ সেপ্টম্বর উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার দাড়িভিট হাইস্কুলে বাংলা শিক্ষকের দাবিতে দাড়িভিট হাইস্কুলের ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিবাভকরা আন্দোলন শুরু করেন। পুলিশ জোর করে ঊর্দু শিক্ষককে বিদ্যালয়ে ঢোকাতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলিনকারীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজেশ সরকার এবং তাপস বর্মনের রহস্য মৃত্যুর পর রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল হয়ে উঠেছিল। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তভার সি আই ডি-র হাতে তুলে দিলেও মৃতের পরিবার সেই তদন্তে সন্তুষ্ট হতে পারেনি। সিবিআই তদন্তের দাবিতে মৃতদেহ দাহ না করে বাড়ির পাশে তাদের দেহ সমাধিস্ত করে রাখা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ নিহত ওই দুই ছাত্রের পরিবার সিবিআই তদন্তের জন্য অনড় ছিলেন। চলতি মাসে কলকাতা উচ্চ আদালত এই ঘটনার তদন্তভার এন.আই.এ-র হাতে তুলে দেয়। আদালতের নির্দেশের পরই শনিবার ঘটনার তদন্ত শুরু করল এন.আই.এ। এঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন দুটি পরিবারের সদস্যরা।
উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।