Uttar Dinajpur: বন্দুক নিয়ে সন্ন্যাসীতলা কালী মন্দিরে ডাকাতিতে চাঞ্চল্য

আরও পড়ুন

দাসপাড়া সন্ন্যাসীতলা কালী মন্দিরে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দুষ্কৃতীদের বাধা দিতে গিয়ে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে না পারলে মন্দির কমিটি আগামীতে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন। দুষ্কৃতীদের মন্দির থেকে দানপত্র নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা সি সি ক্যামেরায় পরিষ্কার চিত্র ফুটে উঠেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাসপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার গভীর রাতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ৬ জনের একটি দুষ্কৃতীদল মন্দিরে প্রবেশ করে। মন্দিরে কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার দুষ্কৃতীদের বাধা দিলে দুষ্কৃতীরা সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করে মন্দিরের দুটি দানবাক্স তুলে নিয়ে যায়। ডাকাতি করতে আসা দুষ্কৃতীদের মারধরে এক সিভিক ভলান্টিয়ার গুরুতর জখম হন। মন্দির কমিটির সদস্যরা ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই মন্দিরে পৌঁছন। আহত সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি চোপড়া থানার পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ ঘটনার দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে। মন্দির কমিটির সভাপতি শ্রীবাস মন্ডল জানান, ঘটনার খবর পেয়ে তারা মন্দিরে পৌঁছে সি সি টি ভি-র ফুটেজে দেখেন- দুষ্কৃতীরা মন্দিরে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবেশ করে দানপাত্র নিয়ে চম্পট দিয়েছে। সম্ভাব্য ডাকাতির আঁচ পেয়েই নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দির কমিটি দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে মোতায়ন করেছে। তাদের মারধর করে দানপাত্রের টাকা পয়সা নিয়ে চম্পট দেয় দুর্বৃত্তরা। পুরো ঘটনাটি সি সি টিভিতে ক্যামেরাবন্দি রয়েছে। পুলিশের হাতে সি সি ক্যামেরার ছবি তুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের কাছে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার দাবিও জানানো হয়েছে। প্রথমবার মন্দিরে এমন ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা না হলে আগামীতে মন্দির কমিটির সদস্যরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকিও দিয়ে রেখেছেন।

সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজে দেখা গিয়েছে- এদিন রাত দুটো বেজে ৬ মিনিটে দুর্বৃত্তদের দলটি ওই মন্দিরে প্রবেশ করে তারা জুতো খুলে বিগ্রহের গয়নাগাটির খোঁজও করেছে। মন্দিরকক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে একজন সদস্যকে পুনরায় জুতো পড়তে দেখা গিয়েছে। এরপর বাকি সদস্যরা দানপাত্রের বাক্স দুটি নিয়েই চম্পট দেয়। দুর্বৃত্তদের দলটিতে একজন খালি গায়ে থাকা বন্দুকধারী সহযোগীও ছিল। প্রত্যাশিতভাবেই প্রশ্ন উঠেছে- এত রাতে বন্দুক হাতে নিয়ে তারা ডাকাতির পাশাপাশি কি করতে গিয়েছিল ? যদি বাধাপ্রাপ্ত হ’ত, তবে কি তারা গুলি চালাত? প্রত্যেকের মুখ চোখ কাপড়ে গামছায় ঢাকা ছিল।

উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close