জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনার হার কমাতে গাড়ি চালকদের বিড এনালাইজার বা এলকোহল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা শুরু করল করণদিঘি থানার ট্রাফিক পুলিশ। এছাড়াও রাতে মোটরবাইক চালকেরা মদ্যপান করে দ্রুতগতিতে মোটরবাইক চালালে জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা ঘটে। সেই মোটরবাইক চালকদের এই যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। মদ্যপায়ীদের বিরুদ্ধে মোটর ভেইকলস আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে করণদিঘী থানার ট্রাফিক পুলিশ।
সূত্রের খবর, জাতীয় সড়কে নিয়মিত ঘটা দুর্ঘটনাই এখন পুলিশ প্রশাসনের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ কর্মসূচি ঘটা করে পালন করা হলেও বাস্তবে এই দুর্ঘটনার হার কমানো সম্ভব হচ্ছে না। দুর্ঘটনার মূল কারন হিসেবে জানা গিয়েছে- চালকেরা রাতে অতিরিক্ত মদ্যপান করে গাড়ি চালানোর কারনেই এই দুর্ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও মোটরবাইক চালকরা মদ্যপান করে দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালানোয় দুর্ঘটনা ঘটছে। রাতে মদ্যপান করে গাড়ি চলাচল বন্ধ হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে আসবে বলে মনে করে পুলিশ। সেই কারণেই রাতে জাতীয় সড়কে গাড়ি চলাচল করে। চালকদের মদ্যপান পরীক্ষার জন্য এলকোহল ডিটেক্টর মেশিন ব্যাবহার শুরু করল করণদিঘি থানার ট্রাফিক পুলিশ। বুধবার রাতে বাস, লরি এবং মোটরবাইক চালকদের মুখে মেশিন লাগিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যে সমস্ত চালক মদ্যপান করে গাড়ি চালাছেন, তাদের বিরুদ্ধে মোটর ভেইকলস আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। চালকদের মদ্যপানে রাশ টানতে পারলেই দুর্ঘটনার সংখ্যা কমবে বলে মনে করেন ট্রাফিক পুলিশের আধিকারিকরা।
তার পাশাপাশি করণদিঘি থানার ট্রাফিক ওসি হৃদম সাহা সকল চালকের উদ্দেশে বার্তা দেন- বাইক চালকেরা যেনও দু’জনের বেশি মোটর বাইকে যেনও না তোলেন। সেইসঙ্গে মদ্যপান করে বাইক যেনও না চালান, এবং বাইক নিয়ে রাস্তায় বার হলে অবশ্যই যেনও হেলমেট ব্যবহার করেন, বাইক দ্রুতগতিতে না চালান, পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত সমস্ত কর্মীদের উদ্দেশেও উল্লেখযোগ্য বার্তা রাখেন।
উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘি থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।