রাত পেরোলেই পঞ্চায়েত ভোট। শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা তুঙ্গে ভোট কর্মীদের। উত্তর দিনাজপুরের মোট গ্রাম পঞ্চায়েত ৯৮টি, পঞ্চায়েত সমিতি ৯ টি এবং ১ টি জেলা পরিষদে মোট ২৬ টি আসনে ভোট হচ্ছে। এই জেলায় মোট ভোটার রয়েছেন ২০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৫১৯ জন, উত্তর দিনাজপুরে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে মোট ২ হাজার ১৩৪ টি বুথে। যার মধ্যে মোট ১০৮ টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। জেলার ৯ টি ব্লক থাকলেও ভোট হচ্ছে ৮ টি ব্লকে। কারন এবার চোপড়া ব্লকে কোনও ভোট হচ্ছে না।
তবে ৮টি ব্লকের মধ্যে রায়গঞ্জ ব্লকেই জেলার মধ্যে সবথেকে বেশি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। এই ব্লকে মোট ২৩টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। যদিও চোপড়া ব্লকে স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ‘শূন্য’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে জেলার মধ্যে একমাত্র চোপড়া ব্লকেই রক্ত ঝড়েছিল। মনোনয়ন পর্বে দুষ্কৃতিদের ছোড়া গুলিতে মৃত্যু হয় এক সিপিএম কর্মীর। এই জেলার জন্য মোট ৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতাহান করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত যতদূর জানা যাচ্ছে- শুধু স্পর্শকাতর বুথগুলির জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে বলে জানা যাচ্ছে।
ভোট কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা চোখে পড়লেও কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট নিতে যাওয়ার ভয়ও স্পষ্ট ধরা পড়ছে তাদের চোখে মুখে। ভোট নিতে গিয়ে আর কেউ “রাজকুমার “হতে চান না, চান পর্যাপ্ত নিরাপত্তা, চান কেন্দ্রীয় বাহিনী। এমনই দাবি করেছেন দু’জন ভোট কর্মী মদন মন্ডল এবং হজরত বেলাল।
রায়গঞ্জ থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।