বিশেষ মেডিক্যাল টীম গঠন করে গুলিবিদ্ধ যুবকের দেহ ময়নাতদন্ত করা হল। ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।ময়নাতদন্ত এবং পুলিশী প্রক্রিয়া শেষ হতে বৃহস্পতিবারে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। রাত্রিতে পরিবারের লোকেরা বিশেষ পুলিশী পাহারায় দেহ নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পরিবার সূত্র জানা গেছে ,সি বি আই তদন্তের আশায় দেহ দাহ না করে বাড়ির পাশেই সমাধিস্ত করে রাখা হবে।
সূত্রের খবর , বুধবার অধিকরাতে কালিয়াগঞ্জ থানার রাধিকাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চাঁদগাঁ গ্রামে বিজেপি পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে গ্রেফতার করতে গিয়ে পুলিশ বাধার মুখে পড়েছিল। পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ।পুলিশের গুলিতেই মৃত্যুঞ্জয় বর্মন নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। বৃহস্পতিবার ভোরে দেহ ময়নায়দন্তের জন্য রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে আনা হয়।পুলিশের গুলিতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দেহ ম্যাজিষ্ট্রেট-এর উপস্থিতিতে এবং ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এছাড়াও ময়নাতদন্তের আগে মৃতদেহ সিটি স্ক্যান করানো হয় বলে জানা গেছে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সন্ধ্যা গড়িয়ে যায়। মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের স্ত্রী গৌরী বর্মন অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন। এই পুলিশ অফিসারের জন্য তার সাজানো সংসার ভেঙে গুড়িয়ে দিল।
বৃহস্পতিবার রাতেই রাজ্যের মন্ত্রী সত্যজিৎ বর্মন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা মৃত মৃতুঞ্জয় বর্মনের বাড়ীতে যায় শোকাহত মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের বাবা এবং তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানান এবং পাশে থাকার আশ্বাস দেন। শাসক দলের নেতারা বেরিয়ে যাওয়ার পড়ে রায়গঞ্জের সংসদ দেবশ্রী চৌধুরী বিজেপি সভাপতি বাসুদেব সরকার মৃত মৃত্যুঞ্জয়ের বাড়িতে গিয়ে তার দেহে মল্ল দেন করে শ্রদ্ধা গোপন করে পরিবারকে সমবেদনা জানান।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।