শীত পড়তেই শুরু হয়ে গেল আগামী বছরের গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি। আগামী ৮ থেকে ১৫ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর নেতৃত্বে নবান্নে আসন্ন গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে পূর্ত, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি, পরিবহণ, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের শীর্ষ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে- মেলায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা মোকাবিলায়র পাশাপাশি নজরদারিতে সাগর দ্বীপের সব পরিবহণে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো হবে । এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোলরুম থেকে সমস্ত ভেসেল এবং বাসে নজরদারি চালানো যাবে। একইসঙ্গে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকলে ভেসেল যাতে আটকে না যায়, সেকারণে তাতে ন্যাভিগেশন লাইটের ব্যবস্থাও করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা-সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার জেলাপ্রশাসনের কর্তারাও। সেখানেই এই জিপিএস ট্র্যাকিং নিয়ে আলোচনা হয়। যেহেতু গতবারের তুলনায় এবার পুণ্যার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে, তাই শুরু থেকেই পিলগ্রিম ট্র্যাকিং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমকে কাজে লাগতে চায় প্রশাসন। বাবুঘাট-সহ সব প্রান্ত থেকে সাগরযাত্রীদের জন্য ব্যবহৃত সরকারি ও বেসরকারি গণপরিবহণেই ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। নজরদারির জন্য চালু করা হচ্ছে মেগা কন্ট্রোলরুমও। গতবারের গঙ্গাসাগরের মেলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে জানুয়ারি মাসে গঙ্গাসাগরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজ্য প্রশাসন।
হাওড়ার নবান্ন ঘুরে বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট টাইমস ফোর্টিন বাংলা।