সর্বভারতীয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের রায়গঞ্জ শাখার সামনে কোনও রকমের পার্কিং ব্যবস্থা নেই। যানবাহন রাখতে গিয়ে রীতিমতো সমস্যায় পড়ছেন সংশ্লিষ্ট ব্যাংক দুটির গ্রাহকেরা। ব্যাংকের সামনে চার চাকা রাখার বিষয়টি যেখানে কষ্ট কল্পনা, সেখানে দু’চাকার যানবাহন রাখতে গিয়ে রীতিমতো ঘেমে নেয়ে একসা হচ্ছেন গ্রাহকেরা। তারপর সারিবদ্ধভাবে যানবাহন রাখার কারনে সংশ্লিষ্ট সড়কের ওপর দিয়ে মানুষের চলাফেরা করা কার্যত দুষ্কর হয়ে পড়েছে। সেইসঙ্গে দৈনিক “ইষ্ট নাম” জপ করে যানবাহন চালকেরা এই সড়কের উপর দিয়ে যাতায়াত করেন। মানুষের পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য পুরসভার তৈরি ফুটপাত বহু আগেই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের দখলে চলে গিয়েছে। তার ওপর যানবাহনগুলি দোল খাচ্ছে রাস্তায়। এহেনও প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথচারীরা দৈনিক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, রায়গঞ্জের মহাত্মা গান্ধী রোডের ওপরে একটি তিনতলা বাড়িতে ভাড়া নিয়ে চলছে ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের মেন ব্রাঞ্চ। ওই ভবনটিতেই রয়েছে, রায়গঞ্জ সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের মেন ব্রাঞ্চও। সেইসঙ্গে রয়েছে ভবন মালিকদেরই একটি জুয়েলারী শপ। রয়েছে একটি এটিএম কাউন্টারও। কদিন আগে পর্যন্তও ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মূল শাখাটি অনতিদুরের একটি ভাড়া বাড়িতেই বহু বছর ধরে চলে আসছিল। সেখানেও পার্কিং ব্যবস্থা ছিল না। সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওই শাখাটি নতুন করে আরেকটি ভাড়াবাড়ি নিলেও পার্কিং সমস্যা কিন্তু সেই তিমিরেই।
এবিষয়ে দুটি ব্যাংকের কোনও কর্মীই ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে নারাজ। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে তাদেরই একজন জানিয়েছেন- পার্কিং এর বিষয়টি সর্বৈবভাবে গ্রাহকদের উপর নির্ভর করছে। এবিষয়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কোনও দায় নেই।
অন্যদিকে রায়গঞ্জের দেবীনগর এর বাসিন্দা দেবাশীষ সন্ন্যাসীও মনে করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষের উচিত- পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।
রায়গঞ্জের মহাত্মা গান্ধী রোড থেকে বিশ্বনাথ দাসের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।