মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কাছে সি বি আই তদন্তের দাবি জানালেন। পুলিশ ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চাইছে। ঘটনার চারদিন কেটে যাবার পর পুলিশ একজনকেই গ্রেফতার করেছে।বাকিরা আজও অধরা থেকেই গেছে।পুলিশের তদন্তে তাদের আস্থা না থাকায় সি বি আই তদন্তের দাবি করেছেন। এদিকে গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় সাংবাদিকদেরও গ্রামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, কালিয়াগঞ্জ ব্লকে মালগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংগুয়া গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষন এবং খুনের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কালিয়াগঞ্জের সাহেবঘাটা এলাকা। পুলিশের সঙ্গে গ্রামবাসিদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশকে যথেচ্ছভাবে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়েছে।পুলিশকে লক্ষ্য করে গ্রামবাসিরা ইটবৃষ্টি করে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় একটি ঘুমটি ঘর। পুলিশ কিশোরীর মৃতদেহটি টেনে হিচড়ে নিয়ে যাওয়ায় সারা রাজ্য জুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার তদন্তে শনিবার কালিয়াগঞ্জে আসেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা। রবিবার জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। মৃতার পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্তভার সি বি আই এর হাতে তুলে দেবার দাবি জানান। কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়ঙ্ক কানুনগো সি বি আই তদন্তের কোন আশ্বাস দিতে পারেন নি। এদিকে এলাকায় খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে বাধার মুখে সাংবাদিকরা। ঘটনার পর ১৪৪ ধারা জারি থাকায় পুলিশ তাদের বাধা দেয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট টাইমস ফোর্টিন বাংলা।