রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির শাখা সংগঠণ পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী সমিতির প্রাক্তন উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক শম্ভু চক্রবর্তী প্রয়াত হলেন। তিনি শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ রায়গঞ্জের একটি বে-সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। গোড়াতে তিনি হুগলী জেলার বাসিন্দা ছিলেন। যুব কল্যান দফতরে কর্মসূত্রে অবিভক্ত পশ্চিম দিনাজপুর জেলায় প্রথম জীবনে বদলি হয়ে আসেন। চাকরি জীবনের প্রথম দিন থেকেই আমৃত্যু তিনি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারী সমিতির সদস্য ছিলেন। শ্রমিক শ্রেণির মতাদর্শের উপর ছিল তাঁর গভীর আস্থা। তাঁর অসাধারণ সাংগঠনিক গুনাবলী ও সামাজিক কাজকর্মে নতুন নতুন উদ্ভাবনী শক্তি তাঁকে কর্মচারী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষের কাছে আপনজন করে তুলেছিল। কয়েক বছর আগেই তাঁর স্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। তিনি রেখে গিয়েছেন দুই পুত্রকে। শম্ভুবাবুর মৃত্যুতে গুণমুগ্ধরা তাঁর আত্মার চির শান্তি কামনা করেছেন।
তিনি হাসপাতাল রোডের প্রয়াস বিল্ডিং এর বিপরীতে থাকা পূর্ত দফতরের সরকারি আবাসনে দীর্ঘদিন বসবাস করতেন। অবসর গ্রহণের আগেই ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে রায়গঞ্জের বিধাননগরে একটি মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসেবে পাকা বাড়ি করেছিলেন। বাম আমলে তার দৌলতে বহু মানুষের পদোন্নতি যেমন ঘটেছে, সাংগঠনিক দক্ষতায় তিনি বিভিন্ন মানুষকে বদলি হওয়ার সুযোগ করে দিয়ে মানুষের আশীর্বাদ কুড়িয়েছেন। যে কারনে অসংখ্য মানুষ আজও তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। পশ্চিম দিনাজপুর জেলা ভাগের পর সংশ্লিষ্ট সংগঠনে প্রথমে শিশির দাশগুপ্ত সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরবর্তীতে শম্ভু চক্রবর্তী জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পান। তার দফতর থেকে অবসর গ্রহণের পর তিনি অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সংগঠনে থেকে মানুষের সহযোগিতাই করে গিয়েছেন। তার মৃত্যুর খবর শুনে বহু মানুষ শম্ভুবাবুকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তার মরদেহ ফুল-মালা দিতে হাজির হন।
ফোর্টিন ওয়েব ডেস্ক, রায়গঞ্জ।