বাগান মালিক বাগান ছেড়ে চলে যাওয়ার পর সেই জমিতে আদিবাসীরা কলোনী তৈরি করেছে। এলাকার জমি মাফিয়ারা তাদের উচ্ছেদ করে জমিটি দখল নেওয়ার চক্রান্ত করছে। পুলিশের কাছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ। উল্টে আদিবাসীদের উপর চাপ বাড়াতে রাস্তা, ঘাট, হাট-বাজার থেকে অপহরণ করা হচ্ছে। চোপড়া থানার পুলিশের মদতেই জমি মাফিয়ারা আদিবাসীদের উপর এই অত্যাচার নামিয়ে আনছে। এমন ঘটনার পর চোপড়া ব্লকের আদিবাসীরা চরম নিরাপত্তাহীনতা ভুগছেন। আদিবাসীদের নিরাপত্তা-সহ একাধিক দাবিতে শনিবার আদিবাসী সিঙ্গল অভিযান নামে একটি আদিবাসী সংগঠন আদবাসী সংগঠন চোপড়া থানার পুলিশের হাতে স্মারকলিপি দিল। পুলিশ প্রশাসনের তরফে জমি হাঙ্গরদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ না করা হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে সিঙ্গল অভিযানের নেতৃত্ব।
উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের আমবাড়ি – লোধাবাড়ি গ্রামে আদিবাসীদের জমিতে চাবাগান গড়ে উঠেছিল। বেশ কয়েক বছর বাগান চালানোর পর আচমকা মালিক চাবাগান ছেড়ে চলে যায়। কর্মহীন অসহায় আদিবাসীরা সেই জমিতে কলোনী গড়ে তুলেছে। অভিযোগ, জমি মাফিয়ারা আদিবাসীদের সেই জমি থেকে উচ্ছেদ করতে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচার শুরু করেছে। আদিবাসী সিঙ্গল অভিযানের নেতা সরকার মুর্মুর অভিযোগ, হাটবাজার, রাস্তাঘাট থেকে চোপড়া থানার পুলিশের মদতে আদিবাসীদের অপহরণ করা হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সেই অভিযোগ গ্রহণ করছে না৷ চোপড়া থানার পুলিশের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে, শনিবার আদিবাসী সিঙ্গল অভিযান চোপড়া থানায় স্মারকলিপি দিল। স্মারকলিপি দেওয়াকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছিল ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ।পুলিশ জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে নিরীহ আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বন্ধ না হলে আগামীতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে আদিবাসী সিঙ্গল অভিযানের নেতৃত্ব।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।