জমি হাতিয়ে নিতে না পারায় জমির মালিক সহ শ্রমিকদের মারধর করল চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের জামাই জাভেদকে সঙ্গে নিয়ে তার দলবল হামলা করার অভিযোগ উঠল। আহত জমিমালিক সুকান্ত সরকারকে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযুক্ত মহম্মদ জাভেদ তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর থানার সিমপাড়া গ্রামে। রামগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ইসলামপুর থানার রামগঞ্জ ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিমপাড়া গ্রামে ১৪ কাঠা বসতি জমির মালিক সুকান্ত সরকার। দীর্ঘদিন যাবত সুকান্তবাবুর কাছ থেকে অর্ধেক দামে জমি কিনে নিতে চাইছে চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদূল রহমানের জামাই মহম্মদ জাভেদ-সহ এলাকার জমি মাফিয়ারা। সুকান্তবাবু তার জমি বিক্রি করতে অস্বীকার করার তার কাছ থেকে অর্ধেক জমি বিক্রি করার জন্য চাপ দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এলাকার জমি মাফিয়ারা জমির দখল করে নিতে পারে এই আশঙ্কা করে সুকান্তবাবু তার জমিটি প্রাচীর দিয়ে ঘিরে ফেলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। শুক্রবার জমিতে নির্মান সামগ্রী ফেলা হয়। জমিতে নির্মান সামগ্রী দেখে জাভেদ ও তার দলবল নির্মান কর্মীদের বিভিন্নভাবে ভীতি প্রর্দশন করে বলে অভিযোগ। সুকান্তবাবু সেই হুমকিকে উপেক্ষা করে শনিবার জমি ঘেরা দেওয়ার কাজ শুরু হতেই জাভেদ ও তার দলবল জমিতে এসে সুকান্তবাবু ও তার নির্মান শ্রমিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। সুকান্তবাবু ও তার নির্মান শ্রমিকদের বাঁশ, লাঠি সহ ভারী সামগ্রী দিয়ে বেধড়ক ঠ্যাঙায় বলে অভিযোগ। সুকান্তবাবু কোনক্রমে প্রাণে বাঁচেন।
অভিযুক্ত চোপড়ার বিধায়ক হামিদূল রহমানের জামাই মহঃ জাভেদ তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে সুকান্তবাবুকেই জমি মাফিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেন।জাভেদবাবু জানান, সিমপাড়া এলাকায় অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের বসতি গড়ে উঠলে আগামীতে বড় ধরনের অশান্তি হতে পারে। সেই আশঙ্কা করেই সিমপাড়ার বাসিন্দারা জমিটি কিনে নিতে চাইছেন। আজ এই জমি নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে গোলমালও হয়। গন্ডোগোলের খবর পেয়ে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন। সুকান্তবাবু মারধরের যে অভিযোগ করছেন সেটা ঠিক নয়।তাকে কেউ মারধর করেননি বলে জাভেদ দাবি করেছেন।.
নির্মান শ্রমিক সুকুমার মার্ডি জানান, নির্মানকাজ চলাকালীন বেশ কিছু লোক আচমকাই তাদের উপর হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে তাদের ব্যাপক মারধোর করা হয়। তারা নির্মান কাজ চালু রাখলে আগামীতে আরও বড়সড় গন্ডোগোল হবে বলে তারা হুমকি দিয়েছেন।
গন্ডোগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রামগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ।পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।