দুটি প্লাটফর্মের মাঝে ‘ঢাউস মার্কা’ দীর্ঘকায় অসংখ্য মাল গাড়ির কামরা দাঁড়িয়ে থাকায় ক্রমেই জৌলুশ হারিয়ে ফেলছে রায়গঞ্জ রেল স্টেশন। গুনে গুনে ১২৫ বছর আগে ইংরেজ আমলে ১৮৮৯ সালে তৈরি হওয়া রায়গঞ্জ রেলস্টেশনটির কলেবর বাড়লেও পরিকাঠামো সঠিকভাবে নির্মিত হয়নি। নির্মিত হয়নি একাধিক ট্রাকও। ফলে দুটি প্লাটফর্মের মাঝখানেই দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে বাংলাদেশ কিংবা নেপালগামী মালগাড়িগুলিকে। এত বড় মাপের মালগাড়ির কামরাগুলি দাঁড়িয়ে থাকায় কুলিদেরকেও এক নম্বর প্লাটফর্ম থেকে দু’নম্বর প্লাটফর্মে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অথচ রায়গঞ্জের সেন্ট্রাল মার্কেট যেখানে তৈরি হয়েছে সেখানে যদি দোকান ঘর গড়তে না দিয়ে মালদা কিংবা অন্যান্য রেল স্টেশনের মত মালগাড়িগুলিকে দূরে রাখা যেত, সেক্ষেত্রে এক নম্বর এবং দুই নম্বর প্লাটফর্মের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেত, ঠিক তেমনি মানুষের ক্ষেত্রেও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিরও কোনও জায়গা থাকতো না । রায়গঞ্জের মানুষ তাই নতুন করে শহরের পূর্ব দিকে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অতিক্রম করে সোনাডাঙ্গিতে নতুনভাবে রেলগাড়ির ট্র্যাক তৈরি করে মালগাড়ি রাখার দাবি জানিয়েছেন। এর ফলে রায়গঞ্জ রেলস্টেশনের সৌন্দর্যায়ন যেমন ঘটানো সম্ভব, ঠিক তেমনি এক নম্বর এবং দু’নম্বর রেলওয়ে প্লাটফর্মের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটানোও যেতে পারে। রায়গঞ্জ রেল স্টেশনের দীর্ঘদিন যাবত মালগাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকায় রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স এর পক্ষেও দু’নম্বর এবং এক নম্বর প্লাটফর্মে একযোগে নজরদারি চালানো প্রায় দুঃসাধ্য।
রায়গঞ্জ থেকে প্রবাল সাহার রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।