Uttar Dinajpur : স্নাতকোত্তর, ডি এল এড ডিগ্রিধারী শিক্ষককে ভুল তথ্য দেওয়ায় চাকরি খোয়ানোর পথে শিক্ষক!

আরও পড়ুন

হাইকোর্টে পেশ করা পর্ষদের তালিকার তথ্য ভুলে কাঠগড়ায় প্রাথমিক শিক্ষক? বুধবার এমনই অভিযোগে শোরগোল উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলায়। পর্ষদের পেশ করা তথ্য ভুল বলে দাবি করে কর্ণজোড়া জেলা স্কুল পরিদর্শকের দ্বারস্থ হলেন ওই শিক্ষক। তথ্য যাচাই করে হতবাক স্কুল পরিদর্শকও।

সূত্রের খবর ,উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁ-র দেওগা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে কর্মরত ওই শিক্ষকের নাম বরুন চন্দ্র রায়। তিনি ২০১৭ সালে করণদিঘি ব্লকের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান। এরপর কালিয়াগঞ্জের দেওগা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি হয়ে আসেন। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের তদন্তে হাইকোর্টের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ওই শিক্ষকের নাম রয়েছে এবং তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ১০ শতাংশেরও কম নম্বর পেয়েছেন বলে উল্লেখ আছে।
আর এই খবর পেতেই বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর দিনাজপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদে গিয়ে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছে তার মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক-সহ ডিএলএড ট্রেনিং এর যাবতীয় মার্কশিট ও সার্টিফিকেট নিয়ে হাজির হন।

বরুন চন্দ্র রায়ের এই বিষয়ে বক্তব্য, হাইকোর্টের কাছে যে তালিকা পেশ করেছে পর্ষদ তাতে ওই শিক্ষকের নামে পেশ করা তথ্যে অসংগতি রয়েছে। তিনি একজন স্নাতকোত্তর প্রার্থীই শুধু নন, ডিএলএড প্রশিক্ষনপ্রাপ্তও। তারপরেও কিভাবে ওই তালিকায় তার নাম এল তা স্পষ্ট নয়। অন্যদিকে তার মার্কশিট, সার্টিফিকেট দেখার পর বিষয়টি নিয়ে হতবাক জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকও। তার দাবি, তিনি বিষয়টি পর্ষদকে ফোন মারফত জানিয়েছেন। তবে তালিকায় যা তথ্য বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। যদিও এখনো পর্যন্ত সেই তালিকা প্রশাসনিকভাবে তার কাছে আসেনি বলেই তিনি দাবি করেছেন।

তবে তালিকার তথ্য কি আদৌ সঠিক? যদি ভুল হয় তাহলে কিভাবে এই ভ্রান্তিবিলাস? নাকি এর পেছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে তা এখন তদন্ত সাপেক্ষ বলেও ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত।

উত্তর দিনাজপুর থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা ।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close