নিজের ছুটির দিনে ক্লাস নিচ্ছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। রেজিস্ট্রারের ক্লাস নেওয়া নিয়ে আপ্লুত রায়গঞ্জ ব্লকের হরিগ্রামের মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। কাজের ফাঁকে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সময় কাটাতেই এহেনো উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার।
রবিবার ছিল তাঁর নিখাদ একটি ছুটির দিন। আর এই ছুটির দিনেই নিজেকে একজন শিক্ষক হিসেবে মেলে ধরার ব্যক্তিগত ইচ্ছে প্রকাশে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে গিয়ে পড়ালেন রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রশাসক তথা রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার। শনিবার এমনই ছবি ধরা পরল রায়গঞ্জ ব্লকের হরিগ্রামে অবস্থিত মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে। এদিন দুর্লভবাবু সকাল সকাল পৌঁছে যান মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ছাত্রছাত্রীদের অঙ্ক ও ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করলেন। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভ সরকার বলেন, আমি একান্ত ব্যক্তিগত ইচ্ছা থেকেই আমার ছুটির দিনে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সময় কাটাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছি। কাজের দিনগুলিতে দিনভর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। একজন শিক্ষক হিসেবে ছেলেমেয়েদের পাশে থাকার ইচ্ছাতেই মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ে এসে তাদের ক্লাস নিচ্ছি। শুধু ক্লাস নেওয়াই নয়, আজকের এই ছেলেমেয়েরা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকের পর কোন কলেজে বা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করবে এবং তাদের কেমন রেজাল্ট করতে হবে সেসব বিষয় নিয়েও ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় বিষয়গুলো উঠে আসে। আজকের দিনটা খুব ভালো লাগলো। রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তাঁদের স্কুলে এসে ক্লাস নেওয়ায় আপ্লুত মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তনুজা খাতুন নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী জানালেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আজ আমাদের ভৌত বিজ্ঞান বিষয় পড়িয়েছেন। খুব ভালো লেগেছে আমাদের। স্কুলের শিক্ষকদের চাইতে অনেক বিশ্লেষণ করে পাঠদান করেছেন তিনি। মালঞ্চ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অজয় রায় বলেন, রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দুর্লভবাবু প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকা আমাদের এই স্কুলে সপ্তাহে একদিন ক্লাস নিতে চেয়েছিলেন, সেইমতো তিনি আজ ক্লাস নিয়েছেন। আমরা স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে ছাত্রছাত্রীরা সকলেই খুব আনন্দিত। রেজিস্ট্রার ক্লাস নেওয়ায় খুবই উপকৃত হচ্ছে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ থেকে বিশেষ প্রতিনিধির রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।