Uttar Dinajpur : টাকা দিয়ে জনসভায় লোক ভরানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

আরও পড়ুন

তৃণমূল কংগ্রেসের জনসভায় লোক ভরাতে কর্মীদের টাকা দেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলাজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির দাবি- দু:স্থ কর্মীদের মোটরবাইকের পেট্রোল ভরানোর জন্য সামান্য কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। এই টাকা দেওয়াতে কোনও অন্যায় দেখছেন না। কংগ্রেস নেতা আলি ইমরান রমজের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যাওয়ায় কারনেই তাদের জনসভায় কেউ যেতে চাইছে না। তাই টাকা দিয়ে জনসভায় লোক নিয়ে যেতে হচ্ছে।

সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়ার ফরয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন বিধায়ক তথা সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া আলি ইমরান রমজ সম্প্রতি চাকুলিয়ায় বিশাল জনসভা করেন। সেই জনসভায় বহু ফরয়ার্ড ব্লক, বিজেপি এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা তরুন-তুর্কি নেতা ভিক্টরের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কংগ্রেসের এধরনের কর্মসূচি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস বেশ খানিকটা চাপে পড়ে যায়। কর্মীদের মনবল বাড়াতে গত ৬ নভেম্বর চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর গ্রামে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পাল্টা সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভায় রাজ্য কমিটির মুখপাত্র সুদীপ রাহা,জয়া দত্ত, মন্ত্রী গোলাম রব্বানী এবং জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা উপস্থিত ছিলেন। জনসভায় জনসমাবেশ কম হলে চাকুলিয়ার বিধায়ক মিনহাজ আরফিন আজাদ চাপে পড়ে যাবেন। জনসভায় লোকের সংখ্যা বাড়াতে বাসিন্দাদের টাকা দিতে হয়েছে বলে জানা যায়। কংগ্রেস নেতা আলি ইমরান রমজের অনুগামীরা সেই জনসভার জন্য টাকা দেওয়ার ছবি তুলে তাকে পাঠিয়ে দেন। ভিক্টর সেই টাকা দেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। সেই ছবি ভাইরাল হওয়ার পর রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভিক্টরের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসে দুর্নীতি এবং স্বজন পোষণের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর মানুষ আর তাদের সঙ্গে থাকতে চাইছেন না। তৃণমূল কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গেছে। তাই জনসভায় লোক আনতে গ্রামবাসীদের ৫০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। সেই টাকা দেওয়ার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। সেই টাকা বিলি করছেন বিদ্যানন্দপুরের অঞ্চল সভাপতি মুজাফফর বাজমি। টাকা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি। বাজমির দাবি- এলাকায় দুঃস্থ কর্মীদের সভাস্থলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পেট্রোল খরচ দেওয়া হয়েছিল। এই টাকা তারা চাঁদা তুলেছেন। তিনি সেই টাকা বিলি করেছেন। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রমাণ করে দেওয়া হবে- কার পায়ের তলায় মাটি আছে, কার নেই ।

উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া থেকে উত্তম পালের রিপোর্ট, টাইমস ফোর্টিন বাংলা।

- Advertisement -

সম্পর্কিত খবর

- Advertisement -

ট্রেন্ডিং

close